বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মে শৈলকুপা বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম দূর্নীতি বেড়েই চলেছে। অবৈধ গাছ কর্তন, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড নির্দেশ উপেক্ষিতসহ এবার সরকার নির্ধারিত আদেশের অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। অনিয়ম দূর্নীতির ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বসুদেব কুমার ঘোষ জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারনে একদিন বোর্ডপ্রশ্ন উপেক্ষিতের ঘটনা সত্য তবে অন্য সবই স্কুলের উন্নয়ন স্বার্থে করা হয়েছে। জেএসসির ফরম পুরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অযৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়ায় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে নিয়মনীতিহীন কয়েক লাখ টাকার বড় বড় মেহগনি গাছ কাটা হয় যা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ধামাচাপা দিতে প্রধান শিক্ষক নামমাত্র রেজেুলেশন করে রাজনৈতিক দাপটে শেষরক্ষা পান।

গত ৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত অষ্টম ও নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। শৈলকুপায় কিছু নির্ধারিত স্কুলে নির্ধারিত বিষয়ে বোর্ডের প্রশ্নে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা নির্ধারিত বোর্ডের থাকলেও লোকাল প্রশ্নে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সচেতন অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত প্রশ্নপত্রের আলোকে পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের গুনগতমানের ধারাবাহিকতা থেকে পিছিয়ে পড়বে, তাছাড়া লোকাল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ায় পরীক্ষা প্রস্তুুতিরও ব্যাঘাত ঘটে।

২৪ জুলাই তারিখ থেকে শুরু হয়েছে জেএসসি’র ফরম পুরণ, উপজেলার অন্যান্য স্কুলের সাথে বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত খরচ ২৫০ টাকা পরিবর্তে ৪০০ টাকা হারে ফরম পুরণের টাকা আদায় করছেন প্রধান শিক্ষক বসুদেব কুমার ঘোষ। এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক বলেন, ঘটনা সঠিক তবে অনেক শিক্ষার্থীই গরীব আবার অনেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঠিকমত টাকা দিচ্ছেনা সে কারনে অন্যান্যদের নিকট থেকে ৪’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা কম দিচ্ছে বা যারা রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টি করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদের সেই ঘাটতির টাকা কি তিনি নিজ তহবিল থেকে সমন্বয় করবেন বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। অধিকাংশ গরীব শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের রাজনৈতিক প্রভাব না থাকায় ৪’শ টাকা করে গুনতে হচ্ছে আর প্রভাবশালীরা পার হচ্ছে দেদারছে। এ বৈষম্যের কারনে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও প্রধান শিক্ষকের দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলেও জানা গেছে। বরাবরই তিনি বেপরোয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে একাধিকবার বিতর্কিত হয়েছেন ইতপূর্বে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ খান বলেন, বোর্ড নির্ধারিত প্রশ্নপত্র ও জেএসসির ফরমের টাকা সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ করবেন এক্ষেত্রে নিয়ম উপক্ষোর সুযোগ নেই। তাছাড়া ফরম পূরনের টাকা আদায়ে বৈষম্যের অভিযোগ লোকমুখে জানলেও লিখিত কেউ অভিযোগ করেনি।

Tags

Related Articles

Close