বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
সাকা’র যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়: “রায় পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র হলে আগুন জ্বলবে”
তিনি সকলকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। গণজাগরণ মঞ্চ রাজপথে আছে, যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন, গণজাগরণ মঞ্চ রাজপথেই থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী (সালাউদ্দিন) একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ছিল। আমরা ইতোপূর্বেও দেখেছি সে তার পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। কোনো অপশক্তি যেন এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে না পারে তার জন্য ২৯ জুলাই আপিল বিভাগ কর্তৃক চূড়ান্ত রায় প্রদানের দিন পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চ রাজপথে থাকবে।”
এসময় ইমরান এইচ সরকার মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “শিশু রাজনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কোনো মানবাধিকার সংগঠনকে দেখলাম না রাজনের জন্য বিচার চাইতে। অথচ এরাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক রায় কার্যকর হলে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। এরা কি আসলে মানবাধিকার সংগঠন নাকি দানবাধিকার সংগঠন? মানবাধিকার সংগঠন হলে তাদের কানে কি চট্টগ্রামের মানুষের কান্না পৌঁছে না? পৌঁছালে এখন তো তাদের রাজাকার সাকার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজপথে থাকার কথা।”
এ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জঙ্গি হামলায় নিহত গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব হায়দারের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান তারেক, ভাস্কর রাসা প্রমুখ।
কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে পুনরায় শাহবাগে এসে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৯ জুলাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতার পাশাপাশি নিরীহ মানুষ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের আপিলের রায় দেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।