জাতীয়বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবেঃ শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 নিউজরুমবিডি.কম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা যেন থেমে না যায়। উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন অব্যাহত থাকে। সব সময় শৃংখলা বজায় রেখে চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে। জনগণ চাইলে আবারো ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।’

পিজি আর এর ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বাষিকীর অনুষ্ঠানে পিজিআর সদর দপ্তর ঢাকা সেনানিবাসে এসব কথা বলেন তিনি।

পিজিআর এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একই পরিবারের সদস্য নিজেকে আমি আপনাদের পরিবার মনে করি। আপনারা অনেক কষ্ট করেন। যখনই চলাফেরা করি গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যদের সাথে আমার দেখা হয়।তাই আপনাদের কষ্টটা আমি বুঝি।সেজন্য আপনাদের সুখের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছি আমি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অামার জন্য অাপনারা যে কষ্ট করেছেন তাতে অাপনাদের কথা অামার চিরজীবন মনে থাকবে। যে কোনো পরিবেশে অত্যন্ত কষ্ট করে কাজ করেন অাপনারা। অামার সঙ্গে চলার কারণে অাপনারাও ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ কারণে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় অাসার পর অাপনাদের জন্য (পিজিঅার) ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল বাড়িয়েছি। অাপনাদের অনেক সমস্যা অামরা সমাধান করেছি। অামরা তো একই পরিবারের সদস্য। অাপনাদের জন্য কাজ করা এটা অামার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছি আমরা।

দেশের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ৯২ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বাকিটুকুও আমরা পারব।১২৩ ভাগ বেতন আমরা একসাথে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন হয়েছে কী না আমার জানা নেই।’

‘৯৬ সালে সরকারে এসে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিষয়ে পদক্ষেপ নিই। অন্য কোন সরকারএই কাজটি করেনি। আমার লক্ষ্য ঠিল দেশকে উন্নত করতে হবে। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে।’

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণ করে আমরা মহাকাশ জয় করেছি। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। মহাকাশে বাংলাদেশে পতাকা চলে গেছে সে বিষয়ে আমরা সফল হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, অামাকে হেনস্তা করার জন্য, দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা চলেছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের একটা এমডি পদের জন্য জাতীয় স্বার্থের বিরোধিতা করেছে কেউ কেউ। তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। দুর্নীতি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে অাসিনি। এসেছি মানুষের ভাগ্য গড়তে। মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, দরিদ্র পতিবন্ধী সবার জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করে চলেছি। জাতির পিতা বলতেন ভিক্ষুক জাতির কোন মর্যাদা থাকে না। তাই আমরা চাই বাংলাদেশে যেন একজনও ভিক্ষুক না থাকে। কেউ কারো কাছে হাত পাতবে না।’

নিজেদের জীবনের সাথে তুলনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের ১১ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছি। এটা একটা কঠিন দায়িত্ব। আমরা আমাদের নিজের জীবন থেকে বুঝেছি রিফিউজি হওয়ার কত কষ্ট।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রশংসা অর্জন করেছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী পিজিআর এর সকল সদস্যদের শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি আমার দোয়া আপনাদের সাথে থাকবে।’

Related Articles

Close