জাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

উদ্বোধনের ১১ বছরেও যে কারনে পুরো চালু হয়নি ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল

jinaidahমোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল উদ্বোধনের ১১ বছর পরও পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। দুজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারকে ডেপুটেশনে দিয়ে নামেমাত্র বহির্বিভাগ চালু করা হলেও কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এখানে নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞও। ফলে সরবরাহ করা আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঝিনাইদহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করেন, যা খুলনা বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় শিশু হাসপাতাল। এটি স্থাপনে তিন কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। দুজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারকে ডেপুটেশনে দিয়ে নামেমাত্র বহির্বিভাগ চালু করা হলেও কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এখানে নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞও। একজন ডাক্তারকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া আছে। তিনি কালেভদ্রে শিশু হাসপাতালে যান।

হাসপাতালের কিছু আসবাবপত্র পার্শ্ববর্তী মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলে (ম্যাটস) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর দামি এক্স-রে মেশিন সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিন অনেকেই তাদের শিশুর চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে নিলেও তাদের হাতে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা আছে মাত্র আটটি। অথচ প্রতিদিন ৪০-৫০ শিশু রোগী ভর্তি থাকে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা জানান, শিশু হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে এ হাসপাতাল চালু করা যাচ্ছে না। ২০১৪ সালে এ হাসপাতাল চালু করতে চারজন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স ও ছয়জন স্টাফের পদ সৃষ্টি করা হয়।

Related Articles

Close