বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীর বিচার করবেন প্রধান শিক্ষক!
ওয়াসিম আকরাম রাজা, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পাতিলাপাড়া গ্রামে আব্দুর রহমান খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে শরীফ হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে শালিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতোয়ার রহমান।
এলাকাবাসী ও মেয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টায় সময় পেট ব্যথার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল আব্দুর রহমান খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। পথে স্থানীয় হুটু মুন্সির বাড়ির কাছে আসলে বিপরীত দিক থেকে একই গ্রামের মো. হাকিম মিয়ার ছেলে পোশাক শ্রমিক মো. শরীফুল ইসলাম ঐ ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। এ নিয়ে ঐ ছাত্রী বৃহষ্পতিবার স্কুলে প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করেন। পরে অভিযুক্ত শরীফের বাবা ও ঐ ছাত্রীকে শনিবার স্কুল কক্ষে বিচার করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমান খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ক্যামেরা দেখে কয়েকজন শিক্ষক কথা না বলে চলে যায়। পরে ঐ বিদ্যালয়ের এক কারণিক জানান, এই মাত্র প্রধান শিক্ষক বাড়িতে চলে গেছেন। পরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ প্রতিবেদক বারবার প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে (০১৭১৫-৯৯৬৬৮৯) ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তার ভাই জানান, তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করবেন না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ঐ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধান শিক্ষক নিতে পারেনা।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা চোধুরী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইভটিজিংয়ের বিচার করার সুযোগ নেই। তিনি আরো জানান, বিচার করবেন বিচারিক আদালত। এছাড়াও মেয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাইলে আইনগত সহায়তা করা হবে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, কোন শিক্ষক ইভটিজিংয়ের বিচার করতে পারবে না।