ক্যাম্পাসবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

টাঙ্গাইলে হোসনে আরা হাসান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি: বন্ধ হতে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম

tangail floodমুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের যমুনা, লৌহজং, ধলেশ্বরী, ও এলংজানী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা। এতে টাঙ্গাইলের পশ্চিমানঞ্চলের বরুহা, খারজানা, চরপাকুল্যা, কাতুলীসহ পানিবন্ধী হয়ে পরেছে এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বানবাসী এসব এলাকার মানুষেরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের পাশে দাড়াঁনোর জন্য টাঙ্গাইল সদর ৫ আসনের মাননীয় এম.পি’র পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এলাকার বিত্তবানদের সহযোগীতার হাত বারানোর আহবান জানিয়েছে এলাকার বানবাসী মানুষ।

রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের হোসনে আরা হাসান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মাঠে বানের পানি প্রবেশ করায় ব্যহত হচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। বানের পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছেন। ঐ বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রী চরাঞ্চলের হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলশ্রæতিতে ছাত্রী সংখ্যা চারশতাদিক হলেও উপস্থিতি নগন্য বল্লেই চলে।

এ ব্যাপারে অভিভাবক ফাহিমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন প্রায় আদা মাইল পানি ভাইঙ্গা পিছল রাস্তার মধ্যে স্কুলে যাওন লাগবো না পানি কুমলে হেরপরে যাইবো। অভিভাবক হানিফ মিয়া বলেন আমার মেয়ে সাতার জানেনা তাই এতো রিস্ক নিয়া আমি মেয়েকে স্কুলে ক্যামনে পাঠাই বলেন ?।

একজন শিক্ষার্থী বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে একটি মাত্র টয়লেট তাও আবার পানিতে তলিয়ে গেছে আমরাতো মেয়ে মানুষ আমাদের অনেক সমস্যা হয় বুঝতেই পারছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিনের সাথে একান্তে কথা হলে তিনি বলেন। প্রায় এক সপ্তাহ যাবত বিদ্যালয় মাঠে পানি প্রবেশ করায় আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রীদের উপস্থিতিও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় মাননীয় জেলা প্রসাশন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন ও ছাত্রীদের ত্রানের ব্যবস্থা করলে হয়তো ছাত্রীদের উপস্থিতি বাড়ানো সম্বভ হত। বেশির ভাগ ছাত্রীদের বাড়ী নদীর পশ্চিমপাড় অর্থাৎ চরাঞ্চলে আর ঐ এলাকায় বেশির ভাগই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসবাস। এ ক্ষেত্রে একটু সহযোগীতার হাত বাড়ালে হয়তো বিদ্যালয়টি অনেকটাই উপকৃত হত বলে আমি আশাবাদী।

Tags

Related Articles

Close