ক্রিকেটক্রিকেটখেলাধূলাসর্বশেষ নিউজ
এশিয়ার রানার্সআপ বাংলাদেশ
জেড.আই জহির, নিউজরুমবিডি.কমঃ ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেও বোলিং ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থতার জন্য শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে এশিয়ার রানার্সআপ বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বারের ন্যায় ফাইনালে উঠে শিরোপা বঞ্চিত মাশরাফি বাহিনী। আবারও সেই ২০১২ সালের পূনরাবর্তি সেদিনের হার ছিল মাত্র ২ রানের এবারের ব্যবধানটা ৮ উইকেটের। প্রতিপিক্ষ ভিন্ন ভিন্ন হলেও ফলাফল একটাই ট্রফি হারিয়ে এশিয়ার রানার্সআপ বাংলাদেশ।
রবিবার হোম অফ ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস ভাগ্যে জয়লাভ করে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী দলপতি মাহেন্দ্র সিং ধোনী। রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচটা মাঠে গড়ায় ১৫ ওভার করে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালোই করে দুই ওপেনার তামিম-সৌম্য। দলীয় ২৭ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান সৌম্য সরকার। এরপর মাত্র তিন রানের ব্যবধানে বক্তিগত ১৩ রানে আউট হন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ায় সাব্বির-সাকিবের জুটিতে ভর করে। দুজনে মিলে দলের জন্য ৩৪ রান করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। সাকিব ১৬ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২১ রান করে বিদায় নেন। মাঝপথে মুশফিক ৪ রানে ও মাশরাফি ০ রানে পরপর দুই বলে বিদায় নিলে ম্যাচে ফেরে ভারত।
এবার সেখান থেকে শুরু করেন সাব্বির-রিয়াদ জুটি। দলকে তুলে নেন খাদ থেকে, দুজনে মিলে অপরাজিত ৪৫ রানের কার্যকারী জুটি গড়েন মাত্র ২০ বলের কল্যাণে। নীরব ঘাতক রিয়াদ ১৩ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ঝড়ো ইনিংসে ২টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল। এছাড়া সাব্বির রহমান ২৯ বলে ২ চারের সাহায্যে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে ১২০ রানের চ্যালিঞ্জং স্কোর সংগ্রহ করে টাইগাররা। ভারতের পক্ষে আশ্বিন, জাদেজা, নেহেরা ও বুমরাহ প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট নেন।
১২১ রানের স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারী ভারত। দলীয় ৫ রানে আল আমিনের বলে সৌম্যের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত শার্মা। এরপর যেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশী বোলাররা। উইকেট যেন সোনার হরিণ মাশরাফি-সাকিবদের। শেখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি উইকেটে থিতু হয়ে ৬৭ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিজের দখলে করেন ভারত। দলীয় ৯৯ রানে ধাওয়ান আউট হন তাসকিনের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে। ততক্ষণে ভারত জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ধাওয়ান তার ৪৪ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ছক্কার সাহায্যে ৬০ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে ধোনী ২০ রানে ও কোহলির ৪৪ অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের ৭ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান সংগ্রহ করে কাঙ্খিত জয়ে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলে ভারত। স্বাগতিকদের হয়ে আল-আমিন হোসেন ও তাসকিন ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
ফাইনালের ম্যাচ সেরা হয়েছেন শেখর ধাওয়ান এবং টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন সাব্বির রহমান।