বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

সন্ত্রাসী হামলায় আইএসের দায় স্বীকার নিয়ে বার্তার উৎস বাংলাদেশেই

ডেস্কনিউজ, নিউজরুমবিডি.কম: সাম্প্রতিক সময়ের সন্ত্রাসী হামলা, ব্লগার হত্যা, পুলিশ হত্যাসহ বিদেশী হত্যার দায় স্বীকার করে দেয়ার বার্তার উৎস খুজেঁ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, প্রত্যেকটি বার্তার উৎসই বাংলাদেশ।
সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ তাদের পোর্টালে দাবি করেছে, আইএস এক টুইটার বার্তায় এইসব দায় স্বীকার করেছে৷এরই মধ্যে বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি প্রকাশ নিয়ে সন্দেহ এবং টুইটের উৎস নিয়ে কথা বলেছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘আমরা সাইট-এর কাছ থেকে আইএস-এর দাবির পক্ষে মূল টুইট বার্তার উৎস জানতে চেয়েও জানতে পারিনি৷ একাধিকবার সাইট-এর কো-ফাউন্ডার রিটা কাৎস-কে ইমেল করেও জবাব পাইনি৷

তবে এর আগে একাধিক ঘটনায় বিশেষ করে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার নামে দায় স্বীকার করে ইমেলে যে সব বিবৃতি দেয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশ থেকেই দেয়া হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ তাদের পক্ষে টুইটও করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই৷ কারা টুইট করেছে তা চিহ্নিত করা গেলেও আমরা তাদের আটক করতে পারিনি৷”

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অফিশিয়াল কনসালটেন্ট হিসেবে ২০১২ সাল থেকে কাজ করা আইটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা জানান, ‘‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে দায় স্বীকার করে যেসব টুইট, ফেসবুক এবং ইমেল বার্তার কথা বলা হচ্ছে তার মূল উৎস হল ‘আত তামকিন’ নামে একটি ব্লগ সাইট৷ সিঙ্গাপুরে তাদের একটি সার্ভার আছে৷ কিন্তু যারা এই ওয়েব সাইটে বার্তা আপলোড করেন তাদের অবস্থান গুলশান এবং পুরনো ঢাকায় ৷ আমরা এর আগের বার্তাগুলোর উৎস দেখতে পেয়েছি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা৷”

তিনি আরো জানান, ‘‘আমরা এরই মধ্যে এই গ্রুপগুলো একই না আলাদা তা নিয়েও কাজ করছি৷ শিগগিরই তা নিশ্চিত হতে পারব৷” তিনি বলেন, ‘‘ইমেল, ফেসবুক এবং টুইট বার্তার উৎসও বাংলাদেশ৷ আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে দেশের বাইরে থেকে এসব বার্তা আসেনি৷”

গত সপ্তাহে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ-এর কো ফাউন্ডার রিটা কাৎস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের উচিত হবে সত্য স্বীকার করে নেয়া৷ তিনিও দায় স্বীকারের উৎস হিসেবে আত তামকিন নামের ওয়েব সাইটটির কথা উল্লেখ করেন৷”

 

Related Articles

Close