বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঝিনাইদহে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে নতুন মুখের সংখ্যা বেশি
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন। প্রতি আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম শোনা যাচ্ছে। আাগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশির সংখ্যাও অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনা শুরু করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগও রেখে চলেছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) : আব্দুল হাই , জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ আসন থেকে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইবেন এটা নিশ্চিত। নির্বাচনী এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নতুন রাজনীতিতে নেমেছেন। একাধিকবার এলাকার হাজার হাজার মানুষের সাথে ইফতার করেছেন। তৃণমুল নেতাকর্মীদের দিয়েছেন ঈদ উপহার।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের একটি অংশ নিয়ে মাঠ দখলে রেখেছেন। এলাকায় শোডাউন করছেন। নায়েব আলি জোয়ার্দ্দার, জেলা কমিটির সদস্য, শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দীতা করে পরাজিত হন। তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানান দিচ্ছেন। মীর শাহাবউদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সচিব। দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান দিচ্ছেন। আব্দুল হাই ও নজরুল ইসলাম দুলাল রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে প্রার্থীতা জানান দেন। দু জনের বড় বড় পোষ্টার আছে। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কল্পনা আক্তার মনোনয়ন পেতে এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুনউ উপজেলা) : তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি, বর্তমান সাংসদ। গত নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। স¤প্রতি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী নুরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। শফিকুল ইসলাম অপু, সাবেক সংসদ সদস্য। গত নির্বাচনে সমির কাছে হেরে যান। তিনিও মাঠে নেমেছেন। দলের একটি গ্রুপ তার সাথে আছে। আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌর সভার মেয়র। ইতিমধ্যে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। শহরে বিল বোর্ডে তার বড় বড় ছবি শোভা পাচ্ছে।
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা) : নবী নেওয়াজ ,বর্তমান সাংসদ। যুব লীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক। শফিকুল আজম খান চঞ্চল, সাবেক সংসদ সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এরা দুজনই রমজান মাস জুড়ে ইফতার রাজনীতির মাধ্যমে সমর্থক নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করেন। সাজ্জাতুজ জুম্মা, মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ আসনে ৩ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। এলাকায় খুব কম আসেন। শরিফুন্নেছা মিকি, কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশি। নবী নেওয়াজ ও শফিকুল আজম খান চঞ্চল দু জনই এলাকায় সমালোচিত। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি এডভোকেট আজিজুর রহমান এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান। নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদও মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন) : আনোয়ারুল আজিম আনার, বর্তমান সাংসদ। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। তিনি কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। আব্দুল মান্নান, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাবেক সংসদ সদস্য। দলের মধ্যে তার একটি গ্রুপ রয়েছে। জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান। এরশাদ জমানায় এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন। দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে।
মতিয়ার রহমান মতি, বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যন। নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশি। মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশি। রাশেদ শমশের, কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশি। দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা জুড়ে দলের মধ্যে ব্যাপক গ্রুপিং লবিং সৃষ্টি হয়েছে।