বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

ঝিনাইদহে নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর হামলায় আনারসের প্রার্থীসহ আহত ১৫

up elec maramariস্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: শনিবার বিকাল ৫ টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙ্গা বাজারে নৌকা সমর্থিত লোকজন আনারস সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর পুলিশ ক্যাম্পের সামনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পায়া গেছে। এই হামলায় আনারস সমর্থিত প্রার্থীর ১৪ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে থেকে ৬ জন কে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তারা হলেন মতালেব (৪৮), রাসেদ (২৮), মফাজ্জেল (৫২), সুজন (২৮), রাজিব (১৮), রাজু (২৮)। আহতদের মধ্যে মুতালেব, রাসেদ, মোফাজ্জেলের অবস্থা গুরতর এবং সুজন, রাজিব, ও রাজু কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফেরত পাঠান হয়েছে।

আরও আহত হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি, রমজান (২০), আলী (৩০), জরিপ (৩০),অহিদুল (২৬), আজিজ (৩০), আলমগীর (২৫), জাহাঙ্গীর (৩৫), আশরাফুল (৩৫) এই ৯ জনকে গ্রাম্য চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়াছে। এদের মধ্যে জরিপ কে মেরে পুকুরের পানিতে ফেলা দেওয়া হয় পরে তাকে সেখান থেকে উঠান হয়। এই ঘটনার পর নলডাঙ্গা ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছে।

এ প্রসঙ্গে আনারসের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবির নিকট জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আনারস প্রতীকের সমর্থকরা প্রচার মিছিল নিয়ে নলডাঙ্গা বাজারে প্রবেশের সময়ে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালান হয়েছে আমাকে হত্যার জন্য। কিন্তু আমি কোন প্রকারে বেচে গেছি। আমি যাাতে প্রচার প্রচারণা না চালাতে পারি সেই জন্য আমার মিছিলে আমার উপর হামলা করা হয়েছে । ইতি পূর্বে আমি বলে আসছি যে আমাকে ও আমার কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এই হামলা তার ফলা ফল। আমি চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন আর নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে পরাজয় নিশ্চিত ভেবেই এই হামলা চালিয়ে জন সাধারনের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করছে। ভঁয় পেয়ে জনগণ যাঁহাতে আমাকে ভোট না দেয়।

হামলার অভিযোগের তীর নৌকা মার্কার প্রার্থীর দিকে হলেও নৌকা মার্কার প্রার্থী কবির হোসেন বিষয় টি অস্বীকার করে বলেন যে কে বা কাহারা তাহার উপর হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি ঐ সময়ে নলডাঙ্গা বাজারে উপস্থিত ছিলাম না। আমি ছিলাম ঘোড়সাল ইউনিয়নে। চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। হতেপারে তাদের কোন লোকজন তার উপর হামলা চালাতে পারে। তাঁহা আমার জানা নেই।

স্থানীয় পুলিশ ঘটনা স্বীকার করেছেন এবং ঘটনা জানার পর ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন।

Related Articles

Close