আন্তর্জাতিকরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
চিরবিদায় নিলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মঙ্গলবার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সাবাহ’র কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে। সাবাহ’র মৃত্যুতে তার সৎভাই এবং বর্তমান যুবরাজ শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ (৮৩) নতুন আমিরের দায়িত্ব নিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সাবাহর উত্তরাধিকার হিসেবে নাওয়াফের নাম ঘোষণা করে। এদিকে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কুয়েতের আমির বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অসুস্থ হয়ে কুয়েতের হাসপাতালে কিছুদিন ভর্তি থাকার পর গত জুলাইয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
সাবাহ’র মৃত্যুতে তার কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ’র মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, শোকাহত। তার মৃত্যু কুয়েতের জনগণ, ইসলামী আরব বিশ্ব এবং বন্ধু দেশগুলোর জনগণের জন্য খুবই দুঃখজনক।’
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শেখ সাবাহর মৃত্যুর বিষয়টি ঘোষণা করেন আদালত বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আলী জারাহ আল-সাবাহ। তিনি বলেন, ‘কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’ তবে শেখ জারাহ সাবাহর মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি। সাবাহর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কোরান তেলাওয়াত প্রচার করা হয়।
শেখ সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশটির পররাষ্ট্র নীতি তদারক করেছেন তিনি। ১৯৯০-৯১ সালে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়া দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকার জন্য সাবাহকে বলা হতো ‘আরব কূটনীতির ডিন।’
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান শোক প্রকাশ করেছেন। জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ টুইটারে শোক প্রকাশ করে লেখেন, ‘আজ আমরা বড় ভাই, জ্ঞানী ও প্রিয় নেতাকে হারালাম… যিনি আরব ঐক্যের চেষ্টায় কোন কমতি রাখেননি।’ আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান টুইট করেন, ‘শেখ সাবাহ ছিলেন প্রজ্ঞা, সহিষ্ণুতা ও শান্তির অগ্রদূত। তিনি ছিলেন উপসাগরের সহযোগিতার মহান স্রষ্টা।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কুয়েতের আমিরকে অভিহিত করেন ‘প্রজ্ঞা ও ভদ্রতার অসাধারণ প্রতীক এবং শান্তি ও সেতুবন্ধনের বার্তাবাহক হিসেবে।’