বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কান্দাপাড়া হতে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজন আসামীকে গ্রেফতার ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায়, গত ৫ জুলাই শহরের হক ফ্লাওয়ার মিলের সহকারি ম্যানেজার মির্জা মাসুদুল খোকন মোটরসাইকেল যোগে টাকা নিয়ে ইউসিবি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। কান্দাপাড়া এলাকায় পৌছালে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস তাকে বেরিকেড করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। পরে গাড়িতে কিল ঘুসি দিয়ে তার কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে ওইদিন তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহায় করে ৯ জুলাই ছিনতাইয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া থেকে ইমরান হোসেন শামীম (৩৬) নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ১০ জুলাই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে থেকে ছিনাতাইয়ের গুরত্বপূর্ণ তথ্য বের হয়ে আসে। তিনি ১৩ জুলাই দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে শামীমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ১১ জুলাই হক ফ্লাওয়ার মিলের শ্রমিক মো. শফিকুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১২ জুলাই দোষ স্বীকার করে শফিকুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই দিনই সিরাজগঞ্জের শাহাদাতপুর হতে ৫০ হাজার টাকাসহ মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ জুলাই দোষ স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর সাইফুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ১৩ জুলাই মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি এলাকা থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ মো. আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও ১৪ জুলাই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে ২৬ জুলাই রোববার ভোরে আসামী সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।