বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ফুলবাড়ীর মানুষ
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ মুসলমানদের বড় উসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ঈদের আনন্দ আপনজনকে নিয়ে উপভোগ করতে নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ফুলবাড়ীর মানুষ।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল ও সন্ধ্যায় ফুলবাড়ীর বাস কাউন্টারে ও রেল স্টেশনে বাড়ী ফেরা মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রথম বারের মতো ঈদে একটানা নয় দিন ছুটি থাকায় খুব একটা তাড়া ছিল না এবারে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা ফুলবাড়ীর মানুষদের।
ঢাকা থেকে আসা এক বাস যাত্রী জানান, জীবিকার তাগিদে সারাবছর ইট-পাথরের এই শহরে থাকলেও ঈদের সময় ঠিকই বাড়িতে ফিরতে হয়, না হলে মনে হয় জীবনটাই অর্থহীন। আসার পথে রাস্তায় তেমন কোন জ্যামে পড়তে হয়নি। অন্যান্য বারের মতো এবার রাস্তায় ভোগান্তি ছিল না। আগাম টিকিটি প্রাপ্তিতে তেমন সমস্যা হয়নি।
ঢাকা থেকে আসা ট্রেন যাত্রী জানান, তার মুখে ছিল বাড়ী ফেরার আনন্দ আর প্রতীক্ষার প্রবল ছাপ। কখন বাড়ী যাবেন, কখন কাছে পাবেন স্বজনদের। তিনি আরও বলেন, যেসব ট্রেনের যাত্রী আগেই অগ্রিম টিকিট কিনেছিল তারা অনেকটাই ঝামেলাহীন ভাবেই যাত্রা উপভোগ করে বাড়ী ফিরেছে। আর যারা অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেননি তাদেরকে দাড়ানো টিকিট কেটে বাড়ী ফিরতে হয়েছে।
ফুলবাড়ী রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আজ ও গতকাল প্রত্যেকটা ট্রেনেই প্রায় যথাসময়ে ফুলবাড়ী রেল স্টেশনে পৌঁছেছে। আগামীকাল (০৩জুলাই) থেকে ঈদুর ফিতর উপলক্ষে শুরু হবে ঈদের ২টি বিশেষ রেল সার্ভিস। আগামীকাল থেকে যাত্রীদের চাপও বাড়বে। সাধারণত ঈদের দুয়েকদিন আগেই চাপটা বেশি থাকে। তখন টিকেট কেনা না থাকলেও ছাদে উঠে হলেও মানুষ যাত্রা করে। ঈদ সামনে রেখে এবারও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে। এবার কোনো রকম সিডিউল বিপর্যয় হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফুলবাড়ী ঢাকা বাস কাউন্টার নাবিল পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ও হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানাজারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের প্রায় সকল বাস যথাসময়ে ফুলবাড়ী পৌঁছেছে এবং ফুলবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাস্তায় কোন জ্যামের খবর পাননি। তবে আগামী ২ দিন থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে তখন রাস্তায় জ্যামের কারণে হয়তো বাস যথাসময়ে ফুলবাড়ী পৌঁছাতে নাও পারে। তবে ঈদের আনন্দ আপনজনকে নিয়ে উপভোগ করতে নাড়ির টানে বাড়ী ফিরে রাস্তায় দূর্ভোগের কথা সবাই ভুলে যান।