বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
বীরগঞ্জে ছাগলকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপার সৃষ্টি
শেখ সাইদুল আলম সাজু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বীরগঞ্জে ছাগলকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে, গভির রাতে ইউপি সদস্য কর্তৃক আপোসের চেষ্টা। উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মিলনবাজার এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র ও পলাশবাড়ী দ্বীমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র শামীম ইসলাম গত ২৯ জুলাই দুপুরে প্রতিবেশী মৃত পৈষাঞ্জু বর্মনের পুত্র ভুলশি মিস্ত্রির ১টি ছাগলকে ধর্ষণ করায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে সরজমিনে গেলে ভুলশি মিস্ত্রির স্ত্রী পারুল জানায়, শনিবার দুপুরে বাড়ীর পাশ্বের ডাড়াতে ঘাস খাওয়ার জন্য বাচ্চা সহ ১টি ছাগল বেধে আসি। দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে ছাগলের চিৎকারে ডাড়ার পাড়ে ছুটে গেলে শামীম ছাগলটি ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাগলের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। তাৎক্ষনিক আমি শামীমের মাকে ঘটনাটি দেখালে তিনি চিকিৎসা করতে বলে। পরে আমার স্বামীকে সংবাদ দিলে সে এসে ছাগলটিকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় পশু ডাঃ রনিকে দেখিয়ে চিকিৎসা করাই।
চিকিৎসক ডাঃ রনি মোবাইল ফোনে জানায়, আমি রক্ত ক্ষরণ ও ছাগলের অবস্থা দেখে ধর্ষরে আলামত পাওয়ায় তাৎক্ষনিত রক্ত বন্ধের জন্য চিকিৎসা দেই। অপরদিকে শামীমের বাড়ীতে গেলে তার মা জানায়, ভুলশি মিস্ত্রীরা আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা আপবাদ দিচ্ছে। তার ছেলে কথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন দুপুর হতে ছেলেটিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিকেলে পরিষদ কার্যালয় অবস্থান কালে আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং তাদেরকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ও ডাঙ্গারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্ষির মহন রায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে ভুলশি মিস্ত্রীকে নিয়ে এসে ৫ হাজার টাকা ক্ষতি পুরন দিয়ে আপোসের চেষ্টা করে।
এ রিপোট লেখা পযন্ত ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।