জেড.আই জহিরঃ ১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে যুব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। যুব বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে নেপাল যুবাদের হারিয়েছে মিরাজের দল।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুব বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-নেপাল যুব ক্রিকেট দল। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট খুইয়ে ২১১ রান সংগ্রহ করে নেপাল যুব দল। জবাবে ৪৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করে যুব বিশ্বকাপে প্রথমবারের ন্যায় সেমি-ফাইনালে প্রবেশ করে টাইগার যুবারা।
সকালে টস জয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় অধিনায়ক রাজু রিজালের ব্যাটে ভর করে ২১১ রান করে নেপাল অনূধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। রাজু শান্ত/জাকিরের হাতে রান আউট হওয়ার আগে নিজের নামের পাশে ৭২ রান যোগ করেন। তার ৮০ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া নেপাল যুবাদের পক্ষে ধামালা ২৫, দিপেন্দ্র ২২, প্রেম ২২ ও আরিফ ২১ রান করে দলের রান সংগ্রহে সাহায্য করেন। টাইগারদের পক্ষে ৩৮ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন পেসার সাইফুদ্দিন। এছাড়া মিরাজ, রানা ও শাওন একটি করে উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন। বাকি চারটি ছিল রান আউটের শিকার।
১৮ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৭ রানে বিদায় নেন সাইফ হাসান (৫)। এরপর জয়রাজকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ। অর্ধশতক রান করার পর দুজনের ভূলবুঝাবুঝিতে দলীয় ৬৩ রানে রান আউটের শিকার হন পিনাক ঘোষ। যা ছিল আজকের ম্যাচে ৫ম রান আউটের শিকার। নিজের নামের পাশে পিনাক যোগ করেন ৩২ রান। এর ক্ষানিকবাদে শতরান পেরুনের আগেই টাইগারদের নেই টপঅর্ডারের ৪ উইকেট। দলীয় ৯৮ রানের মধ্যে হারায় জয়রাজ (৩৮) ও নাজমুল (৮) কে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নামেন দলীয় অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেক পার্টনার জাকির হোসেন কে সাথে নিয়ে শুধু ম্যাচ জিতিয়ে নয় দুজুনেই মাঠ ছাড়েন অপরাজিত ইনিংস খেলে। ২০.১ ওভার ব্যাট করে দুজনে দলের জন্য ১১৭ রানের জুটি গড়েন। যা এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। মিরাজ ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৬৫ বলের ইনিংসে মাত্র তিনটি চারের মার ছিল। অপরদিকে আরেক পার্টনার উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান জাকির হোসেন ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৭৭ বলের ইনিংসে ৫টি চারের মার ও একটি ছয়ের মার মারেন। অবশ্য সেই ছয়টি দিয়ে ম্যাচ শেষ করেন জাকির। নেপালের পক্ষে মাত্র ৩৩ রান খরচায় সুনিল ধামালা ২টি উইকেট নেন। এছাড়া সন্দিপ লামিচানে একটি উইকেট নিজের করে নেয়।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন একটি উইকেট, একটি রান আউট ও ৫৫ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলা টাইগার দলপতি মেহেদী হাসান মিরাজ।