বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
হতভাগা ইতি সাম্প্রদায়িক বিরোধের কারণে স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সম্প্রদায়গত বিরোধের কারণে স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মৃত শহীদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শারমিন আক্তার ইতি। পিতৃহারা দরিদ্র ঘরের মেয়ে জেনেও পাঁচ বছর প্রেম করার পর ইতিকে বিয়ে করে একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে এবিএম রায়হান।
মিস্ত্রি (ধোপা) সম্প্রদায়ের কন্যা হওয়ায় ইতিকে মেনে নিচ্ছে না কারিগর সম্প্রদায়ের রায়হানের পরিবার । এতে ইতির ভবিষৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিন কাটাচ্ছে তার গোটা পরিবার।
গত জুলাই মাসের ২০ তারিখ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ইতিকে বিয়ে করে রায়হান। কিন্তু বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই গা-ঢাকা দেয় রায়হান। কোথাও কোন ভাবে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ইতির স্বামী রায়হানকে।
এদিকে, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পিতৃহারা অসহায় ইতি।কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না। সকলের দ্বারে দ্বারে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে ইতি।
এ ব্যাপারে ইতির মা জানায়, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে রায়হান তার মেয়ে শারমিন আক্তার ইতির সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করে।
তিনি আরো বলেন, রায়হানের বাবা আ: আজিজের সাথে বিষয়টি বিয়ে আলোচনা করতে গেলে তিনি তাদের বাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।আজিজ গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়।
এ বিষযে রায়হানের বাবা আ: আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার ছেলে কোথায় আছে তিনি জানেন না। শারমিন আক্তার ইতি জানান, তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে রায়হান প্রতারণা করছে। এখন তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উছেছে।
ইতি আরো জানায়, গোপনে রায়হান তার বাবা মায়ের সথে যোগাযোগ রাখে। তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য তার বাবা মা তাকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। সে সঠিক বিচার পেতে সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। বজরাপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও এসবিকে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন শান্তি দেশসময় ডটনেটকে জানান, এ বিষয়ে একাধিক বার সালিশ হয়েছে।
সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক কারণে এটা মেনে নিচ্ছে না রায়হানের বাবা। তিনি আরো জানান, গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষই ইতির পক্ষে রয়েছে। এবং সবাই এ সমস্যার সমাধানের পক্ষে।