বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ফুলবাড়ীতে মাদক সেবনকারীকে গণধোলাই
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মিনারুল ইসলাম টুটুল নামে ১ মাদক সেবনকারীকে সচেতন গ্রামবাসীর গণধোলাই।
গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঈদের দিন দিবাগত রাত দেড় টায় উপজেলার রাঙ্গমাটি (ছোয়ানী) এলাকার লিচু বাগানে ৪জন গাঁজা সেবন করতেছিল, এমতাবস্থায় মাদক নির্মূল করার জন্য সচেতন গ্রামবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। গ্রামবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । ৩জন মাদক সেবনকারী গ্রামবাসীর কাছে হাত জোর করে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে তারা ভবিষ্যতে এরকম কাজ আর করবে না, তাদেরকে যেন পুলিশের হাতে তুলে দেয়া না হয়।
অপর ১জন অবঃপ্রাপ্ত বিডিআর হাবিলদার আব্দুল হান্নানের ছেলে মিনারুল ইসলাম টুটুল গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি প্রদান করে। মাদক সেবনকারী টুটুলের গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুনে উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এসময় টুটুলের অভিভাবক খবর পেয়ে গ্রামবাসীর কাছে হাত জোর করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাকে যেন পুলিশের হাতে তুলে দেয়া না হয় তার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে। এরপর গ্রামবাসী মুচলেকার মাধ্যমে ৪ মাদক সেবনকারী অবঃপ্রাপ্ত বিডিআর হাবিলদার আব্দুল হান্নানের ছেলে মিনারুল ইসলাম টুটুলকে তার খালা মোর্শেদা বেগম জামিনদার হিসেবে, মোঃ এনামুল হক এর ছেলে শামীম জামিনদার বাবা নিজে, কালা মিঞার ছেলে আব্দুল আলীম জামিনদার বাবা নিজে বুঝে নেয়।
মিনারুল ইসলাম টুটুল কে রাতেই তার বাবা ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। পরেরদিন কতিপয় সাংবাদিকের সহযোগিতায় বিষয়টিকে অন্যদিকে মোড় নেয়ার জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশ করায় “ফুলবাড়ীতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে নির্যাতন” শিরোনামে। এই নিউজে গ্রামবাসীর কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি।
এবিষয়ে টুটুলের বাবা অবঃপ্রাপ্ত বিডিআর হাবিলদার আব্দুল হান্নান জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা বলার কথা বলে তারই প্রতিবেশী ১০/১২জন কথা বলার কথা বলে ঈদের দিন দিবাগত আনুমানিক রাত ১২টার সময় তার বাড়ী থেকে তাকে ডেকে বের করে এবং আলাপ আছে বলে তাকে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট শুরু করে।
এবিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনার ছেলে গাঁজা সেবন করতেছিল, আপনার শ্যালিকা মোর্শেদা বেগম জামিনদার হিসেবে মুচলেকা দিয়ে আপনার ছেলেকে গ্রামবাসীর কাছে থেকে বুঝিয়ে নিয়েছে। তিনি গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।