বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা মামলার আসামী এমপি রানাসহ ১০জনের মামলামাল ক্রোক

crockমুুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে : টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ  ১০ জনের সকল অস্থাবর মালামাল ক্রোক করেছে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী মামলার সকল পলাতক আসামীদের বাড়িতে অফিযান চালিয়ে মালামাল ক্রোক করা হয়। তবে অভিযানে তেমন কোন উলে­খ্য যোগ্য মালামাল ক্রোক করতে পারেনি পুলিশ।

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া প্রতিবেদককে জানান, মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের আদেশের খবর পাওয়ার পরপরই আসামীরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এসময় মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসার ভারাটিয়ার ঘর থেকে একটি ফ্রিজ, বেশ কিছু কাপড় ক্রোক করা হয়। এর আগে সোমবার (১৬ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ফারুক হত্যা মামলার পলাতক ১০ আসামীর মালামাল ক্রোকের নিদের্শন দেন।

অন্য আসামীরা হচ্ছেন : সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁনে, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তাঁর ছোট ভাই বাপ্পা তাঁদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লে¬াবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান।

শৌচাগার থেকে ফেরার পথে কবির হোসেন (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর সাংসদ আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর তার মৃতদেহ তাঁর বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উলে­¬খ করা হয়েছে।

Related Articles

Close