খেলাধূলাসর্বশেষ নিউজ
বছর শেষে শীর্ষেই রইলেন মুশফিক
জেড.আই জহির, নিউজরুমবিডি.কম: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আস্থার প্রতিক বলা হয় তাকে। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আদর করে ডাকেন “রান ম্যাশিন” বলে। যখনই বাংলাদেশ দল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে, দলের ত্রাতা হিসেবে প্রাচীর হয়ে আবির্ভাব হন তিনি। বলছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মিতুর কথা।
চলতি বছরে দেশসেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের জায়গা শীর্ষেই রাখলেন উইকেট কিপার ব্যাটসমান মুশফিকুর রহিম। সবাইকে ছাঁপিয়ে ২০১৫ সালের দেশসেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা নিজের কাধেই রাখলেন “রান ম্যাশিন” খ্যাত মুশফিকুর রহিম। বছর শেষে ১৬টি ওয়ানডে ইনিংস খেলে করেছেন ৭৬৭ রান।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও বছরের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বছর শেষে ব্যাটসম্যানেদের রানে ফেরা ছিল উল্লেখ্য করার মত। ওপেনার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিংবা মুশফিকুর রহিম তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০১৫ বছর শেষে ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন মুশফিকুর রহিম।
শনিবার সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্থানটা নিজের করে নেন মুশফিকুর রহিম। সেদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন মুশফিক। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও হাকান তিনি। মুশফিক এ বছরে ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৬টি ইনিংস খেলেছেন। ১০১.৫৮ স্ট্রাইকরেট এবং ৫১.১৩ গড়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬৭ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া চারটি হাফ-সেঞ্চুরি ও দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। বছর শেষে ১০৭ রান মুশফিকের সর্বোচ্চ রানের স্কোর।
বছর শেষে দ্বিতীয় স্থানটা নিজের করে রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল খান। ২০১৫ সালে ১৮টি ম্যাচের ১৮টি ইনিংস খেলে তামিম ইকবাল করেছেন ৭৪২ রান। তামিমের রান তোলার গড় ৪৬.৩৭ পাশাপাশি স্ট্রাইকরেট মুশফিকের চেয়ে কিছুটা কম ৮১.৬২। বছরে তামিম সেঞ্চুরি করেছেন ২টি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। তামিমের বছর শেষে এক ইনিংসে ১৩২ রান সর্বোচ্চ রানের স্কোর।
এদিকে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের পরের তালিকায় আছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। চলতি বছরে দেশসেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা ছিল বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকারের। পাঁজরের ইনজুরির কারণে সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা খেলা হয়নি সৌম্য সরকারের। তানাহলে হয়তবা বছর শেষে দেশসেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা নিজের করেই রাখতেন সৌম্য সরকার। ১৫টি ম্যাচে সবকয়টি ইনিংস খেলে বাঁহাতি এই ওপেনার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৬৭২ রান। সৌম্য সরকারের রান তোলার গড় ৫১.৬৯, পাশাপাশি সবাইকে ছাপিয়ে রান তুলেছেন ১০২.২৮ স্ট্রাইক রেটে।
এছাড়াও সাথে আছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরির মার। অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ছাড়া চলতি বছরে বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ নেই। তাই সুযোগ নেই মুশফিককে ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে দলের সঙ্গে বছরটা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের হিসেবে মুশফিক-তামিম-সৌম্যরা খুব উপভোগ করছেন, তা বলাই যায়।