বাংলাদেশ

দেলদুয়ারে মসজিদ নির্মান নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা!

Mosque picমুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকেঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় আটিয়া ইউনিয়নের ঘুণিকিশোর গ্রামে মসজিদের পাশেই আরেক মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সামাজিক বিরোধ চরমে পৌছেছে।

গ্রামের লোকজন দুটি মসজিদকে ঘিরে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনিই দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে এমন আশংকা করছেন এলাকার সুধী সমাজ। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে তারা উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৮ সনে রূপসী মৌজার ৩০০ দাগে ২৩৮ খতিয়ানের ৫ শতাংশ সম্পত্তির উপর জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এতদিন ধরে ওই মসজিদেই নামাজ আদায় করে আসছিলেন গ্রামবাসী। সম্প্রতি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারে একটি মহল মসজিদের পাশেই ৬ শতাংশ ভূমি করে পাকা মসজিদ ভবন নিমার্ণ শুরু করেন।

এতে দু’টি মসজিদকে ঘিরে গ্রামের লোকজন দু’শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় থানা পুলিশ ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

পুরাতন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৮ বছর ধরে সারা গ্রামের মুসুল্লিরা ঘুনিকিশোর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছে। এখন সেই মসজিদের পাশেই একটি মহল ঘুনিকিশোর পল্লী জামে মসজিদ নামে আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করছে। যার ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

নতুন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রাসেল মিয়া বলেন, আগের মসজিদটি টিনশেট ছিল। তার পাশেই পাঁকা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু মসজিদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে গ্রামে দলাদলি বা সংঘর্ষের আশঙ্কাকে তিনি নাকোচ করে দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মসজিদ নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে পরবর্তিতে যদি মসজিদ নিয়ে কেউ বিতর্ক সৃষ্টি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Tags

Related Articles

Close