ক্যাম্পাসবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

যারা এ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তারা বিপথগামী, জঘন্য অপরাধী : রাবি উপাচার্য

ru hmn chn r u humn chnশফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘যারা এ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তারা বিপথগামী। এরা জঘন্য অপরাধ করে নিহত হলে পরিবার এদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। তাদেরকে এ ভয়ঙ্কর পথ থেকে ফিরিয়ে আনা আমাদেরই দায়িত্ব। আমাদের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীই পারে এ জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছি। সেভাবেই আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে এ জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে হবে।’
সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনটি কাজলা গেট থেকে শুরু করে প্যারিস রোড হয়ে জোহা চত্বর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মানববন্ধনকারীরা সেই সঙ্গে লাইব্রেরি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের রাস্তায়ও অবস্থান নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদ নামক ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব শিক্ষক-অবিভাবকদের। আমাদের ক্লাসে কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন শিক্ষার্থী সন্দেহমূলক আচরণ করছে সেগুলো আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অবিভাকদের উচিৎ সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া।’
উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশে  বলেন, ‘দিনমজুরের ট্যাক্সের টাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক-গার্মেন্টস কর্মীরা তোমাদের পড়ালেখার টাকা দিচ্ছেন। তাদের প্রতি তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। দেশের কাছে তোমাদের ঋণ আছে। তোমরা এখান থেকে গিয়ে জ্ঞানের ধারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের মুখ উজ্জল করবে এটাই আমরা চাই। আমাদের শিক্ষকদের মাথা নীচু হয়ে যায় যখন শুনি জঙ্গিবাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীরা জড়িত।’
এসময় রাজশাহী মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনাদের যে সহপাঠীর আচার-কথাবার্তা-চালচলনে হঠাৎ করে কোন পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে, না হয় আমাদের জানান। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর অভিভাবকরা ছেলে- মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েন না। আপনার সন্তান স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যেখানেই পড়াশোনা করুক না কেন, তার খোঁজ-খবর নিন। সন্তানরা কোথায় কী করছে, জানার চেষ্টা করুন। সন্তানদের সময় দিন। তাহলেই দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহীদুল্লাহ, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু, রাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলী আহসান, রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান, অফিসার সমিতির সভাপতি মাসিউল আলম প্রমুখ।

Related Articles

Close