প্রোটিয়াসদের টি২০ সিরিজ জয়

নিউজরুমবিডি.কম: বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫২ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩১ রানে জিতে ২-০ তে টি২০ সিরিজ জিতলো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নামলেও পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি মাশরাফিবাহিনী।

১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুভ সূচনা করেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। ৫.৫ ওভারে ৪৬ রান তুলে নেন এই ওপেনিং জুটি। পার্নেলের বলে আউট হওয়ার আগে  তামিম ১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন। স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ করতেই ডাউন দ্যা উইকেট এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সৌম্য। ২১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করেন সৌম্য।

ব্যাটিং এর শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের কাছে নাস্তানুবাদ হতে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সাকিব (৮), সাব্বির (১) ও মুশফিক (১৯) একে একে নিজেদের উইকেটে বিলিয়ে দিয়ে আসেন। এই তিন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগ দেন নাসির হোসেন (০)। বাহাতি অ্যারন ফাঙ্গিসোর বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন। ফাঙ্গিসোর পরের ওভারে লিটন কুমার দাস আউট হন ব্যক্তিগত ১০ রানে। মাত্র ১০৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের লড়াই।

অভিষিক্ত রনি তালুকার ২১, মাশরাফি বিন মর্তুজার ১৭ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান আউট হলে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাইল অ্যাবোট, অ্যারন ফাঙ্গিসো ও এডি লেই ৩টি করে উইকেট নেন।

ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত রান তুলে নেন। স্পিনার আরাফাত সানী ১১তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ৯৫ রানে। এ জুটি ভাঙার পর ৭ রান যোগ করতেই আরও ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর জোড়া আঘাত হেনে নাসির হোসেন জেপি ডুমিনি (৬) ও এ বি ডিভিলিয়ার্সকে (৪০) সাজঘরে ফেরত পাঠান।

এরপর পরই ডু প্লেসিস ও মিলার ৩৪ রান যোগ করেন। কিন্তু ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে মুস্তাফিজের বলে ১৬ রানে আউট হয়ে যান ডু প্লেসিস। শেষ ১৪ বলে ৩৩ রান করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে এই দুই ব্যাটসম্যান দলের স্কোরকে ১৬৯ এ নিয়ে যান। মিলার ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ রান আসে রুশোর ব্যাট থেকে। নাসির হোসেন ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার। ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও আরফাত সানী।