বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বিদেশী মাইনিং ইক্যুইপমেন্ট আসা শুরু; আবার প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পাবে খনি

khoni equipmentsমোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে আমদানীকরা বিদেশী ইক্যুইপমেন্ট আসা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ সকালে যন্ত্রপাতির প্রথম চালান এর কয়েকটি কার্গো ট্রাক খনিতে এসে পৌছেছে।

খনিতে পুরাতন  মেমিনারিজ অপসারন করে আমদাকৃত এই সব বিদেশী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ভুগর্ভে স্থাপনের পর যতদ্রুত সম্ভব পুনরায় খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করা হবে এবং কর্মবিরতিতে থাকা খনি শ্রমিকরা পর্য়ায়ক্রমে কর্মে ফিরে আসবেন বলে খনির সংশ্লিষ্ট সুত্র আশা করছেন।

মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্টান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) সুত্র জানায় , মধ্যপাড়া পাথর খনিতে ভু-গর্ভে নতুন স্টোপ (নতুন শিলা উৎপাদন ইউনিট) নির্মান  সহ খনির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের অভাবে প্রায় ৬ মাস আগে খনি থেকে পাথর উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয় জিটিসি। তারা  প্রয়োজনীয় মাইনিং ইকুইপমেন্ট এর জন্য মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী  লিঃ কে  খনি বন্ধ হওয়ার প্রায় ৮ মাস পুর্বে তাগাদা দিলেও খনি কর্তৃপক্ষের অর্থ সংকট ও আমদানী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লেগে যাওয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। ফলে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় জিটিসিকেও আর্থিকভাবে ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়।

বর্তমানে জিটিসি’র ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দেশে থেকে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে তা  আমদানী প্রক্রিয়ার  ৮০ ভাগ কাজ প্রায় সম্পন্ন। এই সব মালামালের কন্টেনারগুলো দেশে পৌছার পর চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে আশা শুরু করেছে। বিদেশী ইকুইপমেন্ট বা মালামাল স্থাপনের পর খনির উন্নয়ন এবং পাথর উত্তোলন শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে সকল খনি শ্রমিককে চাকুরীতে ফিরে আনা হবে বলে সুত্রটি জানায়।

খনির একটি সুত্র জানায়  , মধ্যপাড়া খনি কর্তৃপক্ষকে গত বছরের আগষ্ট মাসে পেট্রোবাংলা  ১ শত কোটি টাকা ঋন হিসেবে বরাদ্দ দেয়। তারা ঋণ পাওয়ার পর ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এলসি (ঋণপত্র) খোলে। এলসি খোলার পর পরই মাইনিং ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহে দ্রুত কাজ শুরু করে জিটিসি।

জিটিসি’র দ্বারা প্রতিদিন  পাখর খনি থেকে প্রায সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর উৎপাদন হওয়ায় খনিতে পাথরের যে মজুদ গড়ে উঠেছিল দেশে পাথরের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল পাথর বিক্রি শেষ হয়েছে। প্রয়োজনীয় মাইনং যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের অভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে খনির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নতুন মালামাল স্থাপনের পর দ্রুত পুনরায় খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হবে বলে সুত্র জনায়।

Tags

Related Articles

Close