বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

ফুলবাড়ীতে ভ্যান চালক পরিমল হত্যার প্রধান আসামি আটক

fulbariমোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেজাই মোড়ে ইজি ভ্যান চালক পরিমল চন্দ্র বর্মণ (২৫) হত্যার প্রধান আসামি মোঃ আবু সাঈদ (২৩) কে ৫ মাস পর আটক করেছে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মকছেদ আলী জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহত পরিমলের ব্যাবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ মোবাইল ট্রাক করে এই হত্যার মূল আসামী মোঃ আবু সাঈদ (২৩) কে পার্বতীপুর শহীদ মিনার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত মোঃ আবু সাঈদ (২৩) পার্বতীপুর উপজেলার ঢাকুলা মোল­াই গ্রামের মোঃ আলতাব হোসেনের ছেলে।

তিনি আরও জানান, গত ১৪ অক্টোবর, ২০১৫ পরিমল চন্দ্র বর্মণ (২৫) হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীরা মোঃ আবু সাঈদ (২৩), পিতা মোঃ আলতাব হোসেন, গ্রাম- ঢাকুলা মোল­াই, থানা-পার্বতীপুর, মোঃ আল মামুন ওরফে শাপলা বাবু (৩৫), পিতা-মৃত মশরাফ হোসেন, গ্রাম-মাটিয়ার মোড়, থানা-বিরল, মোঃ আবু তালেব (২২) পিতা- বাচ্চু মিয়া, গ্রাম-ডাঙ্গীর পাড়, থানা-সৈয়দপর। উক্ত ৩ ব্যক্তি ঐ দিন আনুমানিক বিকেল ৫টায় ভ্যানযোগে ফুলবাড়ী বাসষ্ট্যান্ডে এসে কাঞ্চনের হোটেলে ভাত খায়। ভ্যান চালক পরিমলের সঙ্গে ভাড়া চুক্তি করে আমবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত্রি সাড়ে ১১টার দিকে এলিট পেট্রোল পাম্প থেকে ২০০ গজ দূরে মহাসড়কের পার্শ্বে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যান চালক পরিমলকে প্রথমে গুল ছিটিয়ে দিয়ে পরিমলকে অজ্ঞান করে রশি দিয়ে বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে বেদম মারপিট করে হত্যা করে ফেলে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। ঐ ৩ ব্যক্তি আমবাড়ী দন্ডপানী বাজারের পার্শ্বে সাদেকুল নামের ১ ব্যক্তির কাছে ভ্যানটি বিক্রি করে দেয় ১০ হাজার টাকায়। এর পর তারা ঢাকুলায় চলে এসে পরিমলের ব্যবহৃত মোবাইলটি মোঃ সাঈদের ভাবীর কাছে তার ভায়রা মোঃ আল মামুন মোবাইলটি বিক্রি করে।

উলে­্যখ্য, ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের নবগ্রামের অমল চন্দ্রের পুত্র শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মণ গত ১৪ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকেল ৪টায় ভ্যান গাড়ী নিয়ে বাড়ী থেকে বাহির হয়ে যান। রাত্রিতে পরিমল চন্দ্র আর বাড়ীতে ফিরে আসে নাই। পরের দিন সকাল ৭টায় স্থানীয় জনগণ দিনাজপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের উত্তর দিকে ধান ক্ষেতে তার লাশ পড়ে থাকা দেখে তার বাড়ীতে খবর দিলে তার পিতা অমল চন্দ্র পুত্রের লাশ দেখে সনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় তার পিতা অমল চন্দ্র বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং- ০৭, তারিখ- ১৫/১০/২০১৫ ধারা ৩০২/৩৪।

Tags

Related Articles

Close