নিউজরুমবিডি.কম: কিশোরগঞ্জে গণহত্যা, লুটতরাজ, অপহরণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে পলাতক আসামী সৈয়দ মোঃ হাসান আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় এ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগে ২০ জনকে হত্যা, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের দায়ে হাসান আলীকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে অপহরণ, হত্যা ও লুটপাটে জড়িত থাকার দায়ে আসামিকে দেওয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড।
আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ষষ্ঠ অভিযোগ থেকে হাসান আলীকে খালাস দেওয়া হয়।
বিচারক বলেন, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা মৃত্যু পর্যন্ত গুলি চালিয়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
৬৮ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধী এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে আদালতকে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ বা প্রসিকিউশন।
পরোয়ানা জারির পরও পুলিশ হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয় প্রসিকিউশন। তাতেও তিনি হাজির না হওয়ায় বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেন।
আসামির পক্ষে মামলা লড়ার জন্য গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় খরচে আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ১১ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে হাসান আলীর বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
গতবছর ৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত আসামির অনুপস্থিতিতেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথসহ ২৬ জন। পলাতক হাসান আলীর পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলেন না।