ক্যাম্পাসসর্বশেষ নিউজ

প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় ব্যবসায়ী দ্বারা ধর্ষিত হলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী

rapeবিশেষ প্রতিনিধি, নিউজরুমবিডি.কম: মানিকগঞ্জের স্থানীয় এক পার্টস ব্যবসায়ীর দ্বারা নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, প্রেমের ডাকে সাড়া না দেয়ার কারণেই ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত সবুজ।
দীর্ঘদিন যাবৎ আইন বিভাগের ঐ শিক্ষার্থী সবুজের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায়, গত শনিবার বেলা ১১ টায় প্রাইভেটকার যোগে ঐ ছাত্রীকে ঢাকার নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। জানা যায়, জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে লম্বট সবুজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে মেয়েটিকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সবুজের স্বাীকারোক্তির ভিত্তিতে তার মোবাইলের মেমরিকার্ডটি জব্দ করে তা আদালতের কাচে জমা দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আমিনুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ অভিযুক্ত সবুজের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত সবুজের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে তাকে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভিকটিমও ২২ ধারায় নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দির তথ্য যাচাই বাছাই করা করা হচ্ছে। ভিকটিম বর্তমানে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার ফরেনসিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সবুজ সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার জাকারিয়া মহীউদ্দিনের ছেলে। মানিকগঞ্জের ওয়্যারলেস গেট এলাকার ঈশান মটরের পার্টস ব্যবসায়ী সে। আর ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরে।

ভিকটিম ওই ছাত্রী জানান, সবুজ দীর্ঘদিন ধরে তাকে প্রেমর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়- সে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি আরও জানান, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে ঢাকার ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সবুজ। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। এ সময় মোবাইল ফোনেও এসব দৃশ্য ধারণ করে সে। পরে প্রাইভেটকারে করে তাকে ছাত্রীনিবাসের সামনে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে চলে যায় সবুজ। খবর পেয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বাবা তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

Related Articles

Close