বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

পাকুল্যায় সুজায়েতের আয়োজনে প্রয়াত আ.লীগ নেতা মান্নান ও মুকুলের স্বরণ সভা

মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের পাকুল্যায় প্রয়াত আ.লীগ নেতা আব্দুল মান্নান ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের কুলখানি ও দেয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যানপদ প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী “চিরন্তনীর” নির্বাহী পরিচালক মো. সুজায়েত হোসেন মোল্যা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পাকুল্যা আনন্দ বাজারে তার নিজস্ব কার্যালয় হলরুমে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় এলাকার দু’শতাধিক গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে রান্না করা খিচুড়ী বিতরন করা হয়। সুজায়েত হেসেন বলেন, আমি আপনাদের এলাকার সন্তান সুখে দুঃখে সামনের দিনগুলো আপনাদের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। আপনাদের ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনারা যদি ভালবেসে আমাকে কাছে টেনে নেন তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকার মাঝি হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে চাই।
প্রয়াত আ.লীগ নেতা আব্দুল মান্নান এই চরাঞ্চলের সন্তান ছিলেন তাকে স্বরণ করে তার রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারন করে সামনে পথ চলতে চাই। তিনি (৭ অক্টোবর ১৯২৯ইং হতে ৪ এপ্রিল ২০০৫) এই সময়টিতে ছিলেন একজন পরিছন্ন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৩ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধ পরিচালনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা, সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি দেশের রাজনীতির উত্থান-পতনের ঘটনাবহুল সময়ের সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব নগর থেকে তার প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক জয়বাংলা নামে একটি পত্রিকা বের হতো। ৪ এপ্রিল ২০০৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৭ অক্টোবর ১৯২৯ সালে সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নে গালুটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজ সেই প্রয়াত নেতার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি।

অন্যদিকে মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল সাহেব ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ ও টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সংগঠক ছিলেন। এছাড়া ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্যও ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রয়াত মুকুল সাব ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক হাসমত আলী মোল্যা, সদস্য শাহজাহান সিকদার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, যুবলীগ সদস্য লিটন, আকাশ ও স্বপন প্রমূখ। এছাড়া অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী সমর্থীত পরিবারের মুরুব্বিয়ান ও সাধারন জনগন। এলাকার লোকজন বলেন, সুজায়েত হোসেন কে আমরা ইউনিয়নের মসজিদ মাদ্রাসা এবং সামাজিক বিভিন্ন কল্যান মুলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন ও সার্বিক সহযোগীতা করতে দেখি। এরকম একজন দানশীল মনোভাব সম্পন্ন লোক আমাদের ইউনিয়নে খুবই দরকার। তাই আমরা আগামীতে তাকে নৌকার মাঝি হিসেবে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আসনে দেখতে চাই।

Related Articles

Close