বিনোদন

আবরার কে নিয়ে লেখক ও কণ্ঠ শিল্পী নাদিরা মুক্তার শেষ লেখা

মো মানিক খান, ঢাকাঃ যার লেখার জন্য মানুষ পাগল। যে “মা” আবরারের জন্য আবরারের মায়ের জন্য- দুঃখজনক হয়ে লিখে পোষ্ট করেছিলো উনার ফেইসবুক আইডিতে সেইদিন ১ঘন্টার মধ্যে শত শত শেয়ার হয়েছিলো আসলে উনি বাস্তবতা নিয়ে কিছু লিখেছিলো তাই আজ মানুষ উনার লেখার পাগল,- উনার কথার পাগল, তার লেখা গুলো পড়ে অনেকেই ফেইসবুক লাইভে এসে কেঁদে ছিলো। সেই লেখক ও কণ্ঠ শিল্পী “নাদিরা মুক্তা” একই রকম আজ ফেইসবুকে পোষ্ট করে বলেনঃ- গত সপ্তাহেও এই সময়ে বেঁচে ছিল আবরার!ছেলেটা জানত না আর কিছুক্ষণ পরেই তার জীবনের দীপশিখা নিভে যাবে!এক সপ্তাহ হয়ে গেছে আবরার মারা গেছে।কিন্তু ছেলেটার জন্য এখনও হাহাকার লাগে বুকের মধ্যে!আমার ও একটা ছেলে আছে।আবরার ও একদিন আমার বাচ্চার মত ছোট্ট ছিল।আমার বাচ্চাকে আমি যেভাবে আদর করি ওর মাও নিশ্চই এরকম অনেক আদর করত!আস্তে আস্তে সবাই আমরা স্বাভাবিক হয়ে যাব।আবরার এর জন্য কষ্ট লাগা কমে যাবে কিন্তু ওর মার কষ্ট কমবে না কোনোদিন।এরকম সোনার টুকরা ছেলে যে মা জন্ম দেয় তার মায়ের কেমন লাগে ছেলেকে হারিয়ে!আহারে!ছেলেটা যখন হেঁটে হেঁটে করিডর ধরে যাচ্ছিল তারই খুনি বন্ধুদের সাথে বুঝতেও পারে নি আর কিছুক্ষণের জন্য সে দম নিতে পারবে।আমার শুধু মনে হয় ওই রাতে আমার বাচ্চাকে আমি জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলাম নিশ্চিন্তে কিন্তু আবরার তার মায়ের বুক খালি করে চলে গেছে!আমি কিছুতেই এই কষ্ট থেকে বের হতে পারছি না।আবরার কে নিয়ে আর লিখব না।সবাই স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে আমারও উচিত।শুধু মনে হয় স্বার্থপর দুনিয়াতে ছেলেটা ভুল করে চলে এসেছিল!কোনো দরকার ছিল না ওর এই দেশের কথা ভাবার।ওর চরম বিপদে কেউ নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে ওকে বাঁচাতে আসে নি।ছেলেটা জীবনের শেষ পানি টুকু খেতে পারে নি।ওর মা বুক ভরা হাহাকার নিয়ে সারাজীবন চোখের পানির ফেলবে আর তার অতি আদরের সন্তান তার হাতের রুটি গোশত শেষ বারের মত খেতে পারে নি বলে প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকবে!ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার আদরের সন্তানকে স্বপ্নে দেখে মনে করবে তার ব্যাটা তার কাছেই আছে।কিন্তু হাজার চেষ্টা করলেও সে তার ব্যাটা কে আর ছুয়ে দেখতে পারবে না!আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা করি এই শহীদ জননীর হাহাকার যেন বৃথা না যায়!তার প্রাণপ্রিয় সন্তানের ঘাতক দের তিনি এপারেই যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে যেতে পারেন।

Related Articles

Close