বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ফুলবাড়ীতে মহাসড়কের জায়গা দখল করে দোকানপাট বাড়ছে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুুরের ফুলবাড়ীতে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের জায়গা দখল করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সরু হয়ে আসছে রাস্তাটি, ফলে বাড়ছে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপদের কোন নজরদারী না থাকায়, রাস্তা দখল করে একের পর এক দোকান পাট গড়ে উঠছে বাধাহীন ভাবে। তবে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা বলছেন, অচিরেই উচ্ছেদ অভিযানে নামবেন তারা, কিন্তু কতদিন পর মেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে সেই বিষয়ে কেউ বলতে পারেন না।
দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়কটি দিয়ে, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার ফুলবাড়ী শহরের মাঝদিয়ে, রাজধানী শহর ঢাকাসহ, রাজশাহী রংপুর, খুলনা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে, ফলে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি সর্বদায় থাকে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততম সড়কটির জায়গা দখল করে দোকান পাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় যানজট লেগে থাকে, ও প্রায় সময় ঘটে থাকে চোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
ফুলবাড়ীর ল²ীপুর, ঢাকা মোড়, রেল লাইন পূর্ব দিকে ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া মোড়, নিমতলা মোড়, মন্ত্রী মার্কেট এলাকা, পুরাতন লোহার ব্রিজ এর পূর্ব পার্শ্বে সড়কের জায়গার উপর দ্বিতীয় তলা পাকা বিল্ডিং নির্মান করা হয়েছে। অপর দিকে ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের পুকুরের ধারে সড়কের জায়গা দখল করে কলেজের বট তলী পর্যন্ত প্রায়ই ৫০টি দোকান গড়ে উঠেছে।
অন্যদিকে মির্জা অটো রাইস পর্যন্ত এবং অবকাশ সিনেমা হলের সামনে পুরো জায়গা দখল করে মার্কেট ও হোটেল দুই ধারে নির্মান করে জায়গা দখল করে নিয়েছে। দুইটি ভারি যানবাহন একে অপরকে ওভার টেক করতে পারে না। যার কারেণে প্রতিনিয়ত দূঘটনা শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী।
সড়ক ও জনপদের কয়েক জন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, কয়েক দফা উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত হলেও রাজনৈতিক কারনে তা আর পরিচালনা করা হয়নি। তবে তারা বলেন অল্প সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।
গত ২০০৭-২০০৮ সালে তথ্যাবাধায়ক সরকারের সময় এইসকটি দখল মুক্ত করা হয়েছিল। এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুনরায় সড়কের জায়গা দখল হওয়া শুরু হয়। ২০০৮ সালের পর আজও কোন উচ্ছেদ অভিযান চলেনি।
ফুলবাড়ীর ঢাকা মোড় থেকে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা না সরালে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকবে। এব্যাপারে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, সংবাদ কর্মীরা, স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।