বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ফুলবাড়ীতে খরায় রোপা আমন আবাদ হুমকির মুখে
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত কয়েক সপ্তাহের একটানা খরার ফলে রোপা আমন আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক মাঠের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের তীব্রতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রচন্ড গরম। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় এই পরিস্থিতি। তবে আর্থিক অবস্থাসম্পন্ন চাষীরা খরার হাত থেকে রক্ষা পেতে শ্যালো মেশিন দিয়ে আবাদ বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রান্তিক চাষিরা অপেক্ষা করছেন বৃষ্টির জন্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন চাষ মৌসুমে উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৬৬ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষিরা ইতোমধ্যে চাষ করেছেন ১৭ হাজার ২৬০ হেক্টর জমি।
ফুলবাড়ী উপজেলার চকচকা গ্রামের আদর্শ কৃষক সাইদুর রহমান জানান, ভরা বর্ষায় এমন খরা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। উচু জমির আমন চারা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে এবং নিচু জমির আমন চারাও নষ্টের উপক্রম হয়েছে বলে তিনি জানান। একই কথা জানালেন, ভিমলপুর গ্রামের আকবর আলী। উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, আলাদীপুর গ্রামের তারাপদ জানান, আমন আবাদ মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় অবস্থা সম্পন্ন চাষীরা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছেন।
আর প্রান্তিক চাষিরা মাঝেমধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হওয়ায় সেই পানিতে কোনোমতে চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু খরার কারণে রোপা আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। পানির অভাবে জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে পারছেন না। গাছ বাড়ছে না, পানির অভাবে ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন, প্রচণ্ড রোদের কারণে উঁচু জমিগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিএমডিএ ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে আমন ক্ষেতগুলোতে দ্রুত সেচের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। এ সময় সেচ না দিলে ফলন কমে যাবে, উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিবে।