জেড.আই জহির, নিউজরুম বিডি.কমঃ ১২ তম এশিয়া কাপের উদ্ভোধনী ম্যাচে আশা জাগিয়েও হেরেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফি বাহিনী। ঘুরে দাড়ানোর ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকে টাইগাররা। এবার গতকাল শক্তিশালী শ্রীলংকাকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে স্বাগতিক টাইগাররা। আর এটাই লংকানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি জয়।
রবিবার হোম অফ ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শক্তিশালী শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করেনি দুই ওপেনার মিথুন-সৌম্য। রানের খাতা খোলোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান মিথুন আলী (০ রানে)। এরপর মাত্র দুই রানে বক্তিগত (০ রানে) আউট হন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ২৬ রানে সাঝঘরে ফেরত যান মিঃ ডিপেন্ডবল মুশফিকুর রহিম।
এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ায় সাব্বির-সাকিব জুটিতে ভর করে। দুজনে মিলে দলের জন্য ৬৭ বলে ৮২ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন। সাব্বির আউট হওয়ার আগে ৮০ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস উপহার দেন। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ১৪৮.১৪ স্ট্রাইক রেটে ১০টি চার ও ৩টি বিশাল ছ্ক্কার মার মারেন।অপরদিকে সাকিব ৩৪ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করে আউট হন। এছাড়া শেষ দিকে নীরব ঘাতক রিয়াদ ১২ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
১৪৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারী শ্রীলংকা। বাংলাদেশী বোলিংয়ের যৌথ আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়ে সফরকারী শিবির। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারতি ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে ম্যাথিউজের শ্রীলংকা। ফলে ২৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফি ও তার দল। স্বাগতিকদের হয়ে আল-আমিন হোসেন ৩টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া সাকিব ২টি, মাশরাফি, রিয়াদ ও মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট নেন।
এদিকে এই জয়ের ফলে চলমান এশিয়া কাপে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। ২রা মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলে আগামী ৬ মার্চের ফাইনালের টিকিট কাটবে স্বাগতিকরা। যদিও কাজটা খুব সহজ হবেনা টাইগারদের। তবুও পাকিস্তান কোন অংশেই ছাড় দিতে নারাজ মাশরাফি বাহিনী। তাদের বিপক্ষে জয় পেতে হলে তিন বিভাগেই সেরাটা দিতে হবে টাইগারদের।