খেলাধূলা
মালিকের শতকে জয় পেল পাকিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক, নিউজরুমবিডি.কম: ছয় বছর পর নিজের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। প্রায় দুই বছর পর পাকিস্তান দলে ফেরা এ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তিন উইকেটে ৩৭৫ রানের পাহাড় সমান স্কোর দাড় করে পাকিস্তান। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ফলে ৩ ম্যাচ ওয়ানডের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলী। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও দলীয় অধিনায়ক আজহার আলী দুজনে মিলে উদ্ভোধনী জুটিতে ২৬.০ ওভারে দলীয় স্কোর বোর্ডে ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। মোহাম্মদ হাফিজ আউট হওয়ার আগে ৮৬ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন স্বাগতিকদের। তার ৮৩ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও চারটি ছক্কার মার ছিল। আরেক ওপেনার আজহার আলী করেন ৭৬ বলে ৭৯ রান। যার মধ্যে ৯টি চার ও দুইটি ছক্কা মারেন তিনি।
দলীয় ১৭৪ রানে দুই ওপেনার বিদায় নিলে ব্যাটিংয়ে নামেন শোয়েব মালিক। হারিস সোহেলকে সাথে নিয়ে ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১৩৭ বলে ২০১ রানের আক্রমণাত্মক জুটি গড়েন মালিক। যেটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি। আগেরটা ছিল জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আমির সোহেলের ১৪৫ রানের, ১৯৯২ সালে হোবার্টে।
এদিকে দলের সাথে নিজের নামের পাশে ওয়ানডেতে অষ্টম এবং ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথম শতক যোগ করলেন শোয়েব মালিক। ছয় বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মালিক। তার ৭৬ বলে ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা সাজানো ছিল ১২টি চার ও দুটি ছক্কায়। অপরপ্রান্তে ৬৬ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান হারিস সোহেল। দুজনের তাণ্ডবে শেষ ১০ ওভারে ১১২ রান উপহার পাওয়া পাকিস্তান মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই পেয়ে গেছে ৩৭৫ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ১০ ওভারে ৬৩ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন প্রসপার উতসেয়া।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর। আগেরটা ছিল ২০০৭ সালে জ্যামাইকার কিংস্টনে ৩৪৯ রান।
৩৭৬ রানের জবাবে শুরুটা ভালোই করেছিল জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ভুসি সিবান্দা ও সিকান্দার রাজা। দুজনে মিলে উদ্ভোধনী জুটিতে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন এল্টন চিগুম্বুরাও। তবে চিগুম্বুরার ৯৫ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কায় গড়া ১১৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস জয় এনে দিতে পারেনি জিম্বাবুয়েকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করেন সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৪৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক।
শুক্র ও রোববার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডের ভেন্যুও গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।