আন্তর্জাতিকবিনোদনরাজনীতি
তারকারা ক্ষেপেছেন মোদীর ওপর
বিনোদন প্রতিবেদকঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর আশে পাশে শুধু নেতা না তারকাদেরও ভীড় ছিল দেখার মতো। কেননা ভাওরতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেই সমৃদ্ধ না, তারকাতেও ভরপুর। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে বলিউড টলিউডের অনেকেই। উদাহরণ স্বরুপ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা স্মৃতি ইরানির কথাই বলা যায়।
তবে বর্তমানে তারকারা ত্যাগ করা শুরু করেছে বিজেপির সঙ্গ। সম্প্রতি ভারতের সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়েছে। আর সেটিই যেন কাল হয়েছে মোদী সরকারের জন্য। নাগরিকত্ব বিল সংসদে পাস করানোর প্রতিবাদে সমাজের নানা স্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে সরকারে ক্ষমতাসীন মোদির দল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে আন্দোলন ও সহিংসতার খবরও।
আসামের প্রতিবাদী জনতা স্থবির করে দিয়েছে আসামের গোটা জনজীবন। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে রাজ্যটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছেন আসামের অনেক তারকাও। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ‘সর্বকালের মূর্খতা’ এমনই মন্তব্য করেছেন আসামের ভূমিপুত্র বলিউড তারকা আদিল হুসেন। আসামের আরেক অভিনেতা যতীন বোরা ওই আইনের প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। আসাম স্টেট ফিল্ম ফিন্যান্স ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারপারসন পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। আসামের এই তারকা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমি সিএবি সমর্থন করি না। আমার পরিচয় আসামবাসীর জন্য। তাই আমি তাদের সঙ্গেই থাকব। আমি ভেবেছিলাম যে আন্দোলনের জেরে সরকার বিল প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাস হলো। আমি শুধু সমর্থক ও সদস্য ছিলাম বিজেপির। বিলের বিরোধিতায় আমিও আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এছাড়া বৃহস্পতিবার গায়ক পাপন নয়াদিল্লিতে তার অনুষ্ঠান বাতিল করেন। তিনি টুইটে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ঘর আসাম জ্বলছে, কাঁদছে ও কারফিউ জারি’। তাই অনুষ্ঠান বাতিল করলাম। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র নির্মাতা জানু বড়ুয়া আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলতি বছরের ৮তম ‘আসাম ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না।
এর মধ্যেই আসামের আরেক অভিনেতা রবি শর্মা দল ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যসভায় বিলটি পাসের পর।