বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ‘প্রবীণ’ ও নবীনের লড়াই ll কার অপেক্ষায় জয় মাল্য?

tangail 28.12মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ‘প্রবীণ’ ও নবীন প্রার্থীর লড়াই জমে উঠছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জামিলুর রহমান মিরন এর আগে দুই দুইবার পৌর মেয়র ছিলেন। বয়স যাই হোক না কেন- দুইবার ‘গদিতে’ থাকায় ভোটারা তাকে ‘প্রবীণ’ প্রার্থী হিসেবেই অভিহিত করছেন।

রাজনৈতিক লবিং-গ্র“পিং আর নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝির দায়িত্ব পান জামিলুর রহমান মিরন। টাঙ্গাইল পৌরসভায় বিগত শত বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এই  প্রথম টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জামিলুর রহমান মিরন দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এটা তার ৪র্থ বারের মতো টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া। ইতিপূর্বে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের হয়ে দুই দুইবারের সফল ও জনপ্রিয় মেয়র হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কৃতকর্মে পৌরসভার প্রতিটি মানুষের অন্তরে ঠাই করে নিয়েছেন তিনি। তার সময়কালে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা,পয়নিস্কাশন ছিল চোখে পরার মত। আর এ কারনেই আগামীতেও পৌর পিতা হিসেবে জামিলুর রহমান মিরনকে পাশে পেতে চায় পৌরবাসী।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সহিদুর রহমান খান মুক্তির কাছে অল্প সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন সাবেক এই জনপ্রিয় মেয়র জামিলুর রহমান মিরন। ৩০ ডিসেম্বর (২০১৫) টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিরাজ করছে ভোটের আমেজ। চায়ের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজারে নির্বাচনী আলোচনা জনগনের মুখে মুখে। সদ্য কৃষক শ্রমিক জনতালীগ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া জামিলুর রহমান মিরন ছিল জন¯্রােতের দিকদিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতালীগে যোগ দেয়ার আগে জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও পরবর্তীতে সহসভাপতি ছিলেন।

এ ব্যাপারে জামিলুর রহমান মিরনের সাথে একান্ত কথা হলে তিনি বলেন, “আমি মেয়র থাকার সময় মাদক, ভুমিদখল, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।এবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখব” ইনশাহআল­াহ। জনগণ যদি আমার পাশে থাকে আমি টাঙ্গাইল পৌরসভাকে মাদকমুক্ত বাংলাদেশের অত্যাধুনিক মডেল পৌরসভা গড়ার চেষ্ঠা করবো এটাই আমার অঙ্গিকার।

অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু এবারই প্রথম মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেনÑ এ কারনেই তিনি ‘নবীন’প্রার্থী। সানু মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি এবং সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শামসুল হকের পুত্র। তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দল টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

জামিলুর রহমান মিরন নৌকা এবং মাহমুদুল হক সানু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। অনেক ভোটার মনে করেন, মিরন অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং জনপ্রিয় মেয়র ছিলেন। এবার তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার সাথে যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় শক্তি। সুতরাং তিনি এবারও ভোটারদের মন জয় করে শতাব্দী- প্রাচীন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হতে পারেন।

এদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী  মাহমুদুল হক সানু  একজন ভদ্র ও সৎজন মানুষ হিসেবে পরিচিত। অনেক ভোটার মনে করেন, ‘ ক্লিন ইমেজের’ অধিকারী সানু ইতিমধ্যে ভোট যুদ্ধে নিজেকে জয়লাভ করার মত ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছেন। উপরন্তর রয়েছে ধানের শীষ প্রতীকের জনপ্রিয়তা। এ দুইয়ে মিলে মাহমুদুল হক সানু টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে চমক দেখালে অভাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এব্যাপারে মাহমুদুল হক সানুর সাথে কথা হলে তিনিি বলেন “আমি যদি মেয়র হতে পারি তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে পৌরসভাকে মাদকমুক্ত, ভুমিদখল, ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখব”। আমি টাঙ্গাইল পৌরসভাকে মাদকমুক্ত অত্যাধুনিক মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার চেষ্ঠা করবো এটাই আমার অঙ্গিকার।

Tags

Related Articles

Close