আন্তর্জাতিকক্যাম্পাসজাতীয়বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ

আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই : শেখ হাসিনা

37685574_1591378420972685_977327010864955392_nনিউজরুমবিডি.কম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জনগণের সেবক। জনগণ কী পেল সেটাই আমার বড় চাওয়া। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।

আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শুরুতেই এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান ও শিক্ষা পায় সেটাই আমার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য।

উল্লেখ, মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিকেল চারটা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লোকে লোকারণ্য উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে আর হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহাসিক উদ্যান। আধা ঘণ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানপত্র পাঠ করেন। এই মানপত্র তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যা কিছু অর্জন করেছে, মহান ত্যাগ করেই অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর এদেশে বারবার ক্যু হয়েছে। আমি ও আমার ছোট বোন রেহানা পচাত্তরের ১৯ জুলাই জার্মানি গিয়েছিলাম। মানুষ বিদেশ যেতে আনন্দ পায়। কিন্তু আমি সেদিন অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম। বাংলাদেশে ক্যুর কতা শুনে আমার মুখ দিয়ে সেদিন (১৫ আগস্ট ১৯৭৫) একটি কথা বের হয়েছিল। বলেছিলাম, তাহলে তো আমার বাবা কেউ বেঁচে নেই। পরে দেখলাম আমার কথাই সত্যি হলো।

পচাত্তর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, ইন্দিরা গান্ধী আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন। আমরা ছয় বছর দেশে ফিরতে পারিনি। ইন্দিরা গান্ধী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আর রেহানা হারিয়েছি, বাবা, মা, ভাই। কিন্তু জাতি হারিয়েছে তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই আপনজন হারালে বিচার চাইতে পারে। কিন্তু আমি বাবা-মা-ভাই-ভাবী-স্বজন হারিয়েও বিচার চাইতে পারিনি। জিয়াউর রহমান কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। কিন্তু জনগণ সেই ভোটাধিকার চুরি মেনে নেয়নি। তাই জনগণ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এই দলটিই বিদেশিদের কাছে গ্যাস বিক্রি করবে বলে নাকে খত দিয়ে ২০০১ সালে  ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু আমি এই ধরণের দেশদ্রোহী শিক্ষা আমার বাবার কাছ থেকে পাইনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে দেওয়া, বাস- ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা সব তারা করেছিল। তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করলে কারা ক্ষমতায় আসত?

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। তারা আমাদের ভোট দিয়ে উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘একটা শ্রেণি আছে, তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। তারা আবার বলে নৌকা ঠেকাও। কেন নৌকা ঠেকাবেন? সামনে তো বন্যা আসছে তখন আপনাদের দলের নেতারা রিলিফ দিতে গেলে নৌকা লাগবে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা থাকলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়।

Related Articles

Close