বিনোদন
খোদ অস্কার সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
নিউজরুম.কম: বিনোদন ডেস্ক: খোদ অস্কার সভাপতির বিরুদ্ধেই এসেছে যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাও আবার একটি নয়, তিন তিনটি অভিযোগ। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস সভাপতি জন বেইলির বিরুদ্ধে তিন-তিনটি যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে। তড়িঘড়ি এসব ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন অস্কার কর্তৃপক্ষ। মেম্বারশিপ কমিটি সব অভিযোগ পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের আগস্টে একাডেমির সভাপতি নির্বাচিত হন জন বেইলি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর হলিউডে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের অংশগ্রহণে ‘মি টু হ্যাশট্যাগ’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর অক্টোবরে প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে একাডেমি থেকে বহিষ্কার করা হয়। ‘শেক্সপিয়র ইন লাভ’ ও ‘পাল্প ফিকশন’-এর মতো ছবির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিরাম্যাক্সের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন।
এছাড়া গতবারের সেরা অভিনেতা ক্যাসি অ্যাফ্লেককে ৯০তম অস্কার অনুষ্ঠানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার তুলে দিতে ডাকা হয়নি। কারণ, ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে দুটি যৌন হয়রানির মামলা ছিল।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আট হাজার সদস্যদের জন্য নতুন আচরণবিধি ঠিক করে একাডেমি। এর অংশ হিসেবে গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) অস্কার মনোনীতদের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে জন বেইলি আশ্বাস দেন- লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি ও ধর্মের ভারসাম্য বজায় রাখতে দায়িত্বশীল থাকবে একাডেমি। অপব্যবহার, হয়রানি বা বৈষম্য এড়িয়ে না চললে যে কেউ বহিষ্কার হবেন।
৭৫ বছর বয়সী জন বেইলি পেশায় একজন চিত্রগ্রাহক। ‘আমেরিকান গিগোলো’, ‘গ্রাউন্ডহগ ডে’, ‘দ্য বিগ চিল’-এর মতো ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে আমেরিকান সোসাইটি অব সিনেমাটোগ্রাফারস তাকে আজীবন সম্মাননা দেয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় জন বেইলি যদি পদ থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পাবেন বর্ষীয়ান রূপসজ্জাকর লয়েস বারওয়েল। তিনি এখন একাডেমির সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এ বছরের জুলাইয়ে হবে অস্কার সদস্যদের পরবর্তী নির্বাচন।
সূত্র: ভ্যারাইটি