বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

বিরলে ভারাডাংগী দারুস-সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ঘরের টিন খূলে রাখায় খোলামাঠে পাঠদান

Biral.2জেড.আই জহির, বিরল (দিনাজপুর) : বিরলে বিগত ১ মাস যাবৎ ভারাডাংগী দারুস-সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ঘরের টিনের চালা খূলে রাখায় খোলামাঠে মানবেতরভাবে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ঐ ইউপি’র চেয়ারম্যান হওয়ায় একই প্রকল্পে ভিন্ন ভিন্ন খাত হতে অর্থ বরাদ্দের নামে আত্মসাতের অপচেষ্টা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ অভিভাবকমহলের।

জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র ভারাডাংগী দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯২ ইং সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ঐ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ঐ মাদ্রাসার সভাপতি নিযুক্ত হোন ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন।

তিনি সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর মাদ্রাসার ঘরগুলি সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ হতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যায়ে (এডিপি’র) ভারাডাংগী দাখিল মাদ্রাসার এঙ্গেল ট্রাস্ট সেটিংকরণ প্রকল্প হতে কাজ শুরুর নামে পবিত্র রমজান মাসে ঘরের টিনের চালা খূলে নেন। তারপর হতে টিনের চালা খূলে ফেলার দীর্ঘ এক মাসেও সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে পাঠদানে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু অভিভাবক ঘর থাকতে ঘরছাড়া হওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উত্থাপন করলে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে।

Biral.1এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি ও ঐ ইউপি’র চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সংশ্লিষ্ট অফিস হতে বরাদ্দ এবং কাজের মেয়াদের তথ্য জানতে বলেন সাংবাদিকদের। মাদ্রাসার কাজ কোন ঠিকাদার করছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিরলের একজন ঠিকাদারসহ আমি নিজেই মাদ্রাসার কাজটি করছি। ইট ও বালু মাদ্রাসায় আনা হয়েছে, এঙ্গেলের কাজ শহরগ্রাম ইউপি’র নাড়াবাড়ী বাজারের আব্দুর রহমানের দোকানে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আর কিছু জানাবার মত আমার মনমানসিকতা নেই বলে জানিয়ে তিনি আবারো যা কিছু জানার উপজেলায় গিয়ে জানতে হবে বলে জানান।

মাদ্রাসার সুপার ওয়াকিল বিন মুসলিম জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ হওয়ার কথা শুনেছিলিম আগে। পরে শুনছি চেয়ারম্যান সাহেব নিজে কাজটি করে দিবেন। ইট ঈদের আগে ও বালু ৩ দিন আগে মাদ্রাসার মাঠে ফেললেও এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি। খোলামাঠে পাঠদানে অসুবিধা হলেও তিনি নিয়মিত পাঠদান করছেন বলে জানান। প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে কোন রেজুলেশন হয়নি বলেও তিনি জানান।

মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার জানান, কমিটির সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই এসব কাজ চলছে। তবে এলজিএসপি এবং এডিপি’র বরাদ্দ হতে চেয়ারম্যান সাহেব তথা মাদ্রাসার সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন কাজ সম্পন্ন করবেন বলে শুনেছেন।

Tags

Related Articles

Close