বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

সাটুরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ বছরের বেশি ভাগ সময়ই পানির নিচে পচা দুগর্ন্ধের মাঝে চলছে পাঠদান

সাটুরিয়া মানিকগঞ্জমোঃ ওয়াসিম আকরাম রাজা, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার থানা সদরের সবচেয়ে কাছের উত্তর কাউন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ বছরের বেশির ভাগ সময় পানির নিচে ডুবে থাকে। সামান্যে বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির শেষ নেই তবুও এনিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবিষয়ে অনেকবার দেনদরবার  করলেও কোন লাভ হয়নি। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত ও বিভিন্ন রোগ বালাই আক্রান্ত হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভিন জানান, প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। স্কুলটির চারিদিকে উচু। কোন দিক দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। স্কুলের পাশ দিয়ে একটি ছোট খাল প্রবাহিত হলেও ড্রেনেজের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা প্রায় ১যুগ ধরে এ দুভোর্গ পোহাচ্ছে। ফলে সব ধরণের খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরো জানান, টানা আধাঘন্টা বৃষ্টি হলে স্কুলের বারান্দাসহ ক্লাস রুম পানি উঠে ভরে যায়। মাঠের পানি বেশিদিন জমাট থাকলে পচা র্দুগন্ধ বের হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের পানি বাহিত রোগ হয়। এমনকি মাঠে শেওলা জমে মাঠ পিচলে হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আঘাত পেয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় মাঝে মাঝে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানালেন, তাদের দুভোর্গের কথা। শিক্ষার্থীরা বললেন,তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি মাঠে খেলাধূলা করতে পারে না। মাঠে সবসময় পানি থাকায় স্কাউট ও কুচকাওয়াচ করতে পারে না। তারা পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। টিফিন খাওয়া ও ক্লাস চলাকালীন সময় মাঠ থেকে পচা ও র্দুগন্ধ পাই। ফলে টিফিন খাওয়ার সময় অনেকে বমি করে। এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর কাছে দাবী এই স্কুলের কোমলমতি শিশুদের পচা ও দুগর্ন্ধর হাত থেকে রক্ষা করে স্কুলের পাশ দিয়ে একটি ড্রেনেজের ব্যবস্থা করে তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার সুযোগ করে দেওয়ার আহবান জানান। সরেজমিনে দেখা যায় মাঠের পানিতে বিদ্যালয় পুকুর হয়ে গেছে সেই সাথে বের হচ্ছে পচা দুগর্ন্ধ।

অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলটি পাশ দিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুলটি। উপজেলার সকল কর্মকর্তা স্কুলের এ দৃশ্য আসা যাওয়ার পথে দেখেন। প্রায় ১ যুগ ধরে এই স্কুলের বেহাল দশা কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। তারা আরো বলেন, অনেক সময় তাদের সন্তানেরা জাম-কাপর নষ্ট করে বাড়ি চলে আসে এতে করে তাদের দারুনভাবে পড়া লেখার ক্ষতি হয়। তারা দাবি করে বলেন যদি মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে এ স্কুলে  তাদের সন্তানদের আর রাখা হবে না অন্যত্র নিয়ে যাবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাবেরা সুলতানা ওই স্কুলের দুভোর্গের কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের দুর্ভোগের কথা সত্য এবং মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রæতই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

Tags

Related Articles

Close