ক্যাম্পাসসর্বশেষ নিউজ

প্রত্যক্ষ মদদে সাংবাদিককে মারধর, বহিষ্কার দুজন!

RABI Newsশফিকুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি : ‘আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বলতে চাই, আপনারা মাত্র দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছেন কিন্তু কেনো? গতদিন (হামলায় জড়িত) তো প্রায় ৮-১০ জন নেতা-কর্মী সেখানে ছিল। যাদের প্রত্যক্ষ মদদে আরাফাতের ওপর হামলা করা হয়েছে। মাত্র দুজনকে বহিষ্কারের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব শেষ করতে পারেন না। আমরা চাই এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।’

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে মারধরের প্রতিবাদে বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রাবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক সোহাগ।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সোহাগ আরো বলেন, ‘যে ছাত্র সংগঠন শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির কথা বলে। সেই ছাত্র সংগঠন আজ একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে। তারা আমার ভাইকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। তারা আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। কেননা এই ছাত্র সংগঠনের কাছে কোনো শিক্ষার্থীই নিরাপদ নয়।’

আরাফাত রাহমানকে প্রথম মারধরকারীর নাম উল্লেখ করে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মিঠু বলেন, ‘আরাফাতকে কেন মারধরের শিকার হতে হলো তা ইতোমধ্যে সবার জানা। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আরাফাতকে প্রথম ঘুঁষি মেরেছিল কানন! কানন মারার পর সে মাটিতে পড়ে যায়। এর পর বাকিরা তাকে বেধড়ক মারতে থাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা আসলে কোনো শাস্তি না। এটা একটা নাটক। তারা তাদের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আমাদের পদক্ষেপ নিব। আমরা এ অন্যায়ের বিচার নিয়েই ছাড়ব।’

মানববন্ধনে রাবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজ মিশু বলেন, ‘সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এই যে, এই সংবাদ তৈরির কারিগররাই অনেক সময় সংবাদ হয়ে যায়। তেমনই গতকাল আরাফাত রহমানকে মারধর করা হয়েছে। ক্ষমাতাসীনরা প্রায়ই সন্ত্রাসী ভ‚মিকা পালন করে যা কখনই কাম্য নয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রæত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

এসময় আরো বক্তব্য দেন দৈনিক সমকাল-এর রাজশাহী প্রতিনিধি সৌরভ হাবিব, রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর, ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সদস্য রাশেদ রিমন। রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কায়কোবাদ আল মামুন খান, রাবিসাসের সভাপতি হাসান আদিব।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে আরাফাত রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। দ্রæত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে বাস ভাঙচুর করছিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান লাবণ, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাননসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী। এ ঘটনার করার ছবি তোলায় তাদের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হন আরাফাত। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

Tags

Related Articles

Close