বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
মন্ত্রীর ঘোষণার দেড় বছর পরও সখীপুর উপ-কারাগারটি ‘সেফহোম’ করার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে ।। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পরিত্যক্ত উপ-কারাগারটিকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ‘নিরাপদ আবাসন উন্নয়ন কেন্দ্র’ (সেফহোম) করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ঘোষণার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৪ সালের জুন মাসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ওই সখীপুরের ওই উপ-কারাগারটি পরিদর্শন করে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দ্রুত সংস্কার প্রাক্কলন প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্র“তির দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও উপ-কারাগারটিকে “সেফহোম” করার কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি।
জানা যায়, ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামলে টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই দশমিক ২৩ একর জমির ওপর প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে ২৫ কয়েদি বিশিষ্ট ওই উপ-কারাগারটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে ওই উপ-কারাগারটি আর ব্যবহৃত হচ্ছেনা। ফলে দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত এবং কারাগারের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অধিকাংশ জমিই অন্যের দখলে চলে গেছে। কারাগারের অফিস কক্ষটি ব্যবহৃত হচ্ছে কিন্ডারগার্টেনের অফিস কক্ষ হিসেবে। সহকারী জেল সুপারের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনটির একাংশে মাইক্রোবাস শ্রমিক সমিতি, বাকি অংশে স্থানীয় যুবকেরা একটি ক্লাব গড়ে তুলেছে।
অন্যদিকে মাঠের একাংশে বাজার ও বাকি অংশে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। কারাগারের দেয়াল ও ভবনের প্লাস্টার খসে পড়ছে। মরিচায় নষ্ট হয়ে গেছে লোহার গেইট। ভেঙে পড়ছে দরজা-জানালা। ইলেকট্রনিক্স ও পানির ট্যাঙ্কসহ চুরি হয়ে গেছে উপ-কারাগারের মূল্যবান অনেক যন্ত্রপাতি।
সখীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ভূইয়া বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সেফহোম করার প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানো হয়েছে। পাশ হয়ে আসলেই উপ-কারাগারটিকে দখলমুক্ত করে সেফহোম করা হবে।