বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
‘আমি বক্তৃতা দিতে আসিনি, এসেছি আপনাদের দেখতে’: রাষ্ট্রপতি
নিউজরুমবিডি.কম: আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক কলেজ পরিদর্শনের সময় ছাত্র ছাত্রী ও উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকে আমি বক্তৃতা দিতে আসিনি, এসেছি আপনাদের দেখতে; মিঠামইন দেখতে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও আরো বিভিন্ন বাহিনীর ভাইয়েরা মিলে দুই হাজার হয়ে যাবে। এ অবস্থার মধ্যে আপনাদের কাছে আমি আসতে পারি না।’
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আগে এসে কামালপুর, মিঠামইন বাজার, কুইল্লাপাড়া, গিরিশপুর, বড়হাটি বিভিন্ন পাড়া বা গ্রামে একা একা হাঁটতাম। এখন বঙ্গভবনে প্রহরার মধ্যে থাকি। এখানেও প্রহরার মধ্যেই রয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, হাওরে এখন কাজের সময়। বোরো ক্ষেত লাগানো হচ্ছে। তাই বলেছি, জনসভার কোনো দরকার নাই। কোনো জনসভা করব না। হাওরে বর্ষাকালে জনসভা হলে মানুষ সহজে আসতে পারে। কাজেরও ক্ষতি হয় না। বর্ষাকালে জনসভা করা ভালো।
নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মনটা চাইলেও আপনাদের কাছাকাছি বসে প্রাণখুলে কথাবার্তা বলা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি সবাই চলে যেতেন, আমি যদি আগের মতো একা একা থেকে যেতাম বাড়িতে; এভাবে থাকতে পারলে খুব ভালো লাগতো।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সারাদেশের নদী শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। শুকিয়ে যাওয়া নদীতে ড্রেজারের মাধ্যমে খননের ব্যবস্থা না হলে জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ ড্রেজার আছে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এসব ড্রেজারেই একদিক থেকে অন্যদিকে নিয়ে যায়। যেখানে বেশি জরুরি, সেখানে ড্রেজার আগে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়।
মিঠামইন উপজেলা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা যারা বঙ্গভবনে আমার সঙ্গে দেখা করেন, তাদের কাছ থেকে জানতে পারি মিঠামইনে কাজ-কাম কেমন হচ্ছে। নিজের চোখে আগের মতো দেখা সম্ভব হচ্ছে না।