বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার

SAMSUNG CAMERA PICTURESমুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা। সোমবার রাতের কোন এক সময় হত্যার পর তার লাশ ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাশের পুকুরে। সে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভারই গ্রামের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে ফরিদ উদ্দিন স্থানীয় কাগমারি পাড়া এলাকার একটি ডালের ফ্যাক্টরিতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ফরিদ উদ্দিন সোমবার সকালে বাড়ি হতে তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরে ওইদিন রাতে সে আর বাড়ি ফিরেনি। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়। এসময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে গিয়ে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী লিজা বেগম জানান, আমার স্বামী সোমবার সকালে বাড়ি হতে তার কর্মস্থল কাগমারি পাড়া চলে যায়। রাত অনেক হয়ে গেলে আমি তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যেই কাজের চাপে সে বাড়ি আসতোনা। পরে মঙ্গলবার সকালে আমি বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ নিতে থাকি।

এসময় আমাদের বাড়ির কাজের লোক আমাকে জানায়, ফরিদ ভাইয়ের প্যান্ট ও শার্ট বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে আছে। একথা শুনে আমি দৌড়ে ওই জায়গায় গিয়ে তার পরিহিত প্যান্ট শার্ট পড়ে আছে দেখতে পাই। পরে আশে পাশে ভাল করে খোঁজ নিতে থাকি। এক পর্যায়ে পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে আমি চিৎকার দেই। পরে লোকজন ছুটে এসে আমার স্বামীর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। আমার স্বামী নিরপরাধ ছিলো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

হত্যার বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফরিদ উদ্দিনকে সোমবার রাতের কোন এক সময় কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোঁড়া উদ্ধার করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tags

Related Articles

Close