বাংলাদেশ
সাপ আতঙ্ক কাটছে না সাটুরিয়া উপজেলায়
ওয়াসিম আকরাম রাজা, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : সারা দেশে বিপুল পরিমাণে বিষধর গোখরা ও দারাশ সাপ মারার ধুম পড়েছে। সাপ মারার ঘটনায় কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমালেও পাশাপাশি আতংক ছড়িযে পড়েছে চারিদিকে। গত কয়েকে দিনে বিভিন্ন স্থানে এ বছর হঠাৎ সাপের উপস্থিতি এলাকার সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
আজ সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় উপজেলার হরগজ ইউনিয়ের বেপারী পাড়া গ্রাম থেকে ৮ ফুট দৈর্ঘ একটি দারাশ সাপ মারা হয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসি আব্দুস সাত্তার মাষ্টার জানান গত কয়েক দিন যাবত বাড়ির মুরগির বাচ্চা হারিয়ে যাচ্ছে আজ সকালে গোসল করতে যাওয়ার সময় দেখতে পাই এই সাপটি একটি হাসকে কামর দিয়ে ধরে রেখেছে। পরে একটি লাঠি দিয়ে আমি ও বাড়ির লোকজন মিলে ৮ ফুট লম্বা সাপটাকে মারি। এখন আমাদের মনে সংসয় আরও সাপ আছে কিনা।
গতকাল রবিবারও ৬২টি বিষধর গোখরা সাপ মারা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার দিঘুলিয়া এলাকার দেলুয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের বসতঘর থেকে এ সাপগুলো মারা পড়ে। বাচ্চা সাপের সাথে মারা পড়েছে প্রায় ৫ ফুট দীর্ঘ মা সাপটি। প্রতিবেশিদের সাথে নিয়ে পরিবারের মহিলারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে একত্র করে। এতগুলো সাপ এক সাথে মারা পড়ার ঘটনায় একনজর দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমিয়েছে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মো. বোরহান কবির জানান, দেলুয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানে কাঁচা বসতঘরের পিঁড়ির পাশে ১ ফুট লম্বা ২টি গোখরা সাপের বাচ্চা খেলা করতে দেখে শিশু আশিকুর রহমান। দৌড়ে গিয়ে চাচীকে এ ঘটনা জানালে প্রতিবেশিসহ বাড়ির সব মহিলারা দেখতে ভিড় জমায়। এক পর্যায়ে সাপ দুটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এর পরপরই ঘরের ভেতর থেকে ৩-৪ টি করে সাপের বাচ্চা বের হতে থাকে। এভাবে ২৬টি বাচ্চা মারার পর পরিবারে আতংকের সৃষ্টি হয়।
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে ঘরের আসবাপত্র বের করে পুরো ঘরের মেঝে খুঁড়ে আরো ৩৫টি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলার পর সন্ধান পায় মা সাপটির। মেরে ফেলা বিষধর গোখরা সাপটি প্রায় ৫ ফুট দীর্ঘ বলে জানান স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে সাটুরিয়ায় শ্রীমুখ ধানকোড়া এলাকায় আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে ২৭টি ও বালিয়াটি গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে ২৫ বিষধর গোখরা সাপ মারার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুর রহমান বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে বসতঘরের ভেতর ইঁদুরের গর্ত ভরাট করে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। পাশাপাশি বসতবাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।