বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

বি.বাড়িয়ায় তান্ডব থামছেই না, কাল জেলায় হরতাল

b.bariaনিউজরুমবিডি.কম: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে পুরো ব্রাক্ষণবাড়িয়া। গতরাতের সংঘর্ষের জের ধরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে হরতালের ডাক দিলেও পরবর্তীতে জেলার মধ্যে হরতাল সীমাবদ্ধ রাখার ঘোষণা আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, রাতে শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার (বড় মাদ্রাসা) এক ছাত্রের কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে মাদ্রাসার কয়েকশ ছাত্র জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়ে রনির মালিকানাধীন বিজয় টেলিকমসহ একাধিক দোকানে হামলা চালায়। এসময় ব্যাপক ভাঙচুরও চালায় তারা। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসাছাত্রদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ দিলে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে।

বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসাছাত্ররা ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেল স্টেশনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এরই মধ্যে সংর্ষের জেরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া হয়ে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে শহর জুড়ে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এর আগে, গতরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হাফেজ মাসুদুর রহমানের মৃত্যুর পর মাদ্রাসা ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জনের মতো আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন ও সহপাঠী মুফতি নিয়ামুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মাসুদের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Tags

Related Articles

Close