বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ২২ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে।
মঙ্গলবার বিচারক জানান, বুধবার সকালে এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন তারা।
২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর মাহিদুর ও আফসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্য শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের বদিউর রহমান বুদ্ধু ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়ন থেকে মাহিদুর এবং বিনোদপুর থেকে আফসারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, দুই আসামির বিরদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছে প্রসিকিউশন।আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোতে উল্লিখিত অপরাধের বিচার ইতোপূর্বে হয়ে গেছে। তাই আপনারা এমন বিচার করুন, যাতে আন্তর্জাতিক মহলে এই বিচার নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।”
এ সময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দেশে-বিদেশে কে কী বলল, আমরা খেয়াল করি কম। এগুলোর দোহাই দিয়েন না, ভয়ও দেখাবেন না। আমরা শপথ নিয়েছি ন্যায় বিচারের জন্য।”
তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল কোনো রায় দিলে তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ‘শক্তিশালী’।