বাংলাদেশ
ঝিনাইদহের ঐতিহ্য লালন ফকির!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের লালন ফকির বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধকদের মধ্যে অন্যতম। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
“জাত গেল জাত গেল বলে-একি আজব কারখানা,সত্য কাজে কেউ নয় রাজী-সবই দেখি তানা না না”
সময়ের কালপর্বে প্রায় দুইশত বছরেরও অধিক পূর্বে নিতান্তই সাধারন এক অজঁ পাড়াাগায়ের প্রিয় কুটিরে বসে যে মানুষটি সৃষ্টি করেছেন আত্মদর্শন ও মানবতাবাদী এরকম অসংখ্য পদ আর উপহার দিয়েছেন নতুন এক আধ্যাতিকতা ও আত্মদর্শনের জগত, তিনিই ফকির লালন শাহ্।
চরম অস্তিত্ত¡ ও পরম তত্তে¡র সন্ধানী লালন নিজ গ্রাম ঝিনাইদহের হরিশপুর থেকে চলে গিয়ে কুষ্টিয়ার শেউড়িয়ার আখড়াতেই প্রকাশ করেছিলেন তার ঐশি জ্ঞানের দিব্যবানী।
সাইঁজী লালনের সঙ্গীতগুলো চরম জ্ঞানবাদের, দেহ তত্তে¡র ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন ও সকল অন্তর্মূখী অবস্থাকে লক্ষ করে বিস্তারিত প্রসঙ্গমূলক সঙ্গীত।
‘লালন’–তিন অক্ষরের রূপক এক নাম! ‘লা’ মানে ‘না’, ঞযব ঘড়, মহাশূন্য, আধ্যাত্মিকতার শেষস্তর ! ‘লা’ কে যিনি লন তিনিই লালন; অর্থাৎ যে সাধক বস্তুুবিশ্বের ভিড় ছাপিয়ে দেহমনে মহাশূন্যতাকে গ্রহণ করেন ! মানবীয় ক্ষুদ্র ‘আমিত্ত¡’ অর্থাৎ ‘হ্যা’ কে যিনি সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়েছেন।
তিনি জাগতিক নন, মহাজাগতিক! ‘লালন’ যিনি স্বয়ং দেহমনে মহাশূন্যের আকর কেতাব। লালন নিজেই স্বয়ং মহাভাবসমুদ্র।