বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে ব্যাপক প্রেষণ বাণিজ্য!

jhinaidah mapজাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে ব্যাপকতর প্রেষণ বাণিজ্য। যে কারনে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ চিকিৎসক সহ সাধারণ মানুষ। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসকের পদ দুই জন থাকলেও প্রেষণে আসা চিকিৎকদের নিয়ে এখন সেখানে ৪ জন কর্মরত। অপর দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী চিকিৎসক না থাকাই সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সূত্র থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়মিত গাইনী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ এমদাদুল হক ও জুনিয়র কনসালটেন্ট চলন্তিকা রাণী।

এই দুইজন মুলত কোন মতে সামলাতে পারছেন। তারপরেও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রেষণে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাঃ আলাউদ্দিন ও মারফিয়া খাতুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। ঝিনাইদহে এসে তারা ক্লিনিক বানিজ্য নিয়ে মহাব্যাস্ত।

হাসপাতালে তাদের নিয়মিত পাওয়া যায় না বলে অভিযাগ। এদিকে কালীগঞ্জ থেকে ডেপুটেশনে ঝিনাইদহ সদরে আসার কারণে সেখানকার গর্ভবতী মা ও মহিলারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও পল্লী চিকিৎসকের নিকট যেতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে অনেক মহিলা ভূল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে।

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ডাঃ মারফিয়া খাতুন যদিও ইনডোর মেডিকেল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসাবে আছেন কিন্তু সার্বক্ষণিক ভাবে তিনি ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক কামিউনিটি হাসপতালে নিয়মিত প্রাইভেট রোগী দেখেন। হাসপাতালে তাকে তেমন পাওয়া যায় না। অন্যদিকে জেলার সাব সেন্টার গুলোতে কোন ডাক্তার পাওয়া যায় না। যাদেরকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, তাদের ডেপুটেশনে জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাটানো হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে- এর সবই হচ্ছে টাকায়। সিভিল সার্জন অফিসে মালপানি দিয়ে মাসের পর মাস এই অবস্থা চলছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞান করা ডাক্তার না থাকার কারনে ডাঃ আলাউদ্দীন বসে বসে বেতন নিচ্ছিলেন।

সে কারনে তাকে প্রেষণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ও ডাঃ মারফিয়া খাতুনকে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা পরিচালক বদলি করে এই হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

Related Articles

Close