অন্যান্যসর্বশেষ নিউজ

একজন আলোকিত মানুষ হামিদুল হক বীরপ্রতীক

hamidসিরাজুস সালেকীন সিফাত, সখীপুর (টাঈাইল)প্রতিনিধি: বীরপ্রতীক হামিদুল হক ১৯৪৪ সালের ২৫ এপ্রিল টাঈাইলের সখীপুর (তৎকালীন কালিহাতী) উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজী হাবিল উদ্দিন  ছিলেন কৃষক। আর মা কছিরন নেছা ছিলেন গৃহিণী। হাবিল উদ্দিন -কছিরন দম্পতির তিন মেয়ে  ও এক ছেলে মধ্যে হামিদুল হক ছিলেন সবার ছোট। হামিদুল হক অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার মাকে হারান। শ্রীপুরের শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে এসএসসির পরীক্ষার পর টাঙ্গাইলের করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

কর্মজীবেনে তিনি কচুয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতার পরপর তিনি শুভ পরিণয়ে সাংসারিক জীবনে পর্দাপণ করেন ।হামিদুল হক বলেন , ডাকাতিয়া এলাকার বাষ্কার তৈরি করে হাজার হাজার অস্ত্র লুকিয়ে রেখে মুক্তিযোদ্ধারা একটি করে অস্ত্র হাতে নিয়ে ভারতে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পরে খবর পেয়েই হামিদুল হক  সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বিশটি গরু গাড়িতে করে সকল অস্ত্র সখীপুরের আব্দুস সালামের বাড়িতে স্থাপিত হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসেন । অতঃপর ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দেন। পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে হামিদুল হক সহ অন্যান্যরা দেশ স্বাধীন করার শপথ নেন। দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবনা।

অকুতোভয় হামিদুল হক ছোট বেলা থেকেই ছিলেন সাহসী। হামিদুল হক  কাদেরিয়া বাহিনীর সহকারি বেসামরিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন কর্মদক্ষতার সাথে। তিনি ১৯৭১সালের মুক্তিযোদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পূর্ব মুর্হূতে অসীম সাহসিকতার সাথে পাঁচটি সম¥ুখ যোদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযোদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য হামিদুল হককে বীরপ্রতিক খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির র্দীঘ ৪৭ বছর পর হামিদুল হক যুদ্ধজয়ের নানা স্মৃতি, নিজের চোখে অবলোকন করা বীভৎস নানা বিধ দৃশ্যের কথা বলতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। পাকিস্তনি সেনাদের গুলিতে শহিদ হওয়া এক সহযোদ্ধোর কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে কান্না ভেঙে পড়েন হামিদুল হক। হামিদুল হক বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন।

Related Articles

Close