স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূকে (১৯) যশোরের নওয়াপাড়ার একটি বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
আইনজীবী আকিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত গৃহবধূর স্বামী চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর সড়কে চলাচলকারী শাপলা পরিবহনের হেলপার। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। আর গৃহবধূর বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে। দু’বছর আগে তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে ওই গুহবধূ ৫ মাসের গর্ভবতি। চলতি মাসের ১০ তারিখে তার স্বামী ফোনে জানায় দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে দাড়ালে তাকে মথুরাপুর শশুরালয়ে নামিয়ে দেবে। স্বামীর কথা অনুযায়ী ঘটনার দিন দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে আসে। সে সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা’র বাড়ির পাশ্ববর্তি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের তিন যুবক মথুরাপুর পৌছে দেবে বলে ওই সড়কে চলাচলকারী গড়াই পরিবহনে তুলে যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুল চার দিক আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এরমধ্যে প্রধান আসামি পিয়াস শাপলা পরিবহনের সুপারভাইজার। পরে মেয়েটিকে তারা ছেড়ে দিলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। তখন নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে মামলা না দিতে চাপ দিতে থাকে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আইনজীবী আরো জানান, মামলা হয়েছে। এখন আদালতের প্রক্রিয়া অনুসারে বিচারকার্য চলবে।