বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

নাগরপুরে বিধবা নারীকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জায়গা দখলের অভিযোগ

বাসাইলটাঙ্গাইল প্রতিনিধি, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক স্বামী পরিত্যক্ত বিধবা নারীকে হুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের মেহেরা আক্তারের বাড়ীতে।

 

জানা যায়, উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের মৃত. আফছার আলী মিয়ার কন্যা মেহেরা আক্তারের উপজেলার বেকড়া গ্রামের ফজলুল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। উক্ত সন্তানের জন্ম গ্রহণের পর তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে আফছার আলীর কন্যা মেহেরা আক্তার ও শিশু সন্তান মোঃ তাজউদ্দিনকে নিয়ে তার বাবার বাড়ী সলিমাবাদ গ্রামে জীবন যাপন করতে থাকে।

 

মেহেরা আক্তারের একমাত্র ছেলে মোঃ তাজউদ্দিন জানান, আমার নানার ইন্তেকালের পর আমার নানী আছিয়া বেগম আমাদের ভবিষৎ চিন্তা করে তার নিজ নামীয় সলিমাবাদ মৌজাস্থ (ভিপি.৫৬) এস এ ১৮৬ নং খতিয়ানের এস এ দাগ নং ৩৩৮১ হাল ৬৮৫৭ নং দাগের ২৮ শতাংশ বাড়ীর উপর থেকে ৭শতাংশ ভূমি আমার মায়ের নামে সাবকবলা দলীল করে দেন। উক্ত জায়গার উপর একটি চৌচালা টিনের ঘর উত্তোলণ করে আমার মাকে নিয়ে জীবন যাপন করতে থাকি। আমার নানী আছিয়া বেগম মারা যাওয়ার পর আমার মামা আশরাফ আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান, মিজানুর রহমানসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন মিলে আমাদের বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করতে থাকে।

 

এব্যাপরে এলাকায় দফায় দফায় সালিশী বৈঠক বসে এলাকার গণ্যমান্য মাত্ববরা সমাধান করে দিলেও তা অমান্য করে। আমাদের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা রকম ফন্দি করতে থাকে। আমার মামারা এলাকার প্রভাশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের তেমন কিছু বলার সাহস পায় না। পরে আমরা বাটোয়ারা মামলা দিয়ে আমাদের সাত শতাংশ জায়গার উপর ৩৬ টিনের একটি চৌরি ঘর উত্তোলণ করে পাশে একটি রুম করে আমি একটি মুদি দোকান করি। আমার মামার পরিবারের লোকজন উক্ত দোকানে নিয়মিত তসরুপ করতে থাকে। এভাবে একের পর নির্যাতন করেও আমাদের বাড়ী থেকে তাড়াতে না পেরে অবশেষে গত পহেলা ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে আমিসহ আমার মা এবং আমার স্ত্রীকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মহামান্য আদালত যার তদন্তের ভার সলিমাবদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মন্টু মিয়ার উপর দেন।

 

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মন্টু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সলিমাবাদ গ্রামের মোসাঃ খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে ৩জনকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা করলে মহামান্য আদালত উক্ত মামলার তদন্ত ভার আমার উপর দিয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরন করা হবে।

Tags

Related Articles

Close